সহি হ্যায়! টিভি বা রাস্তাঘাটে যাতায়াতের সময় এই বিজ্ঞাপন দেখেননি এমন মানুষ এক জনও আছেন? ইনক্রিমেন্টের বাড়তি টাকা বা এক্সগ্রাশিয়ার থোক— এ দেশের মিলেনিয়াল প্রজন্মের বিনিয়োগ-গন্তব্য এখন শেয়ার বাজার। প্রযুক্তির কল্যাণে মিউচুয়াল ফান্ডের গতিবিধি থেকে কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচার মাহেন্দ্রক্ষণ আজ মোবাইলের এক ক্লিক দূরত্বে। চটপট অর্থ বিনিয়োগের এই ডিজিটাল সুবিধা খুলে দিয়েছে এক নতুন দুনিয়ার দরজা। ফিক্সড ডিপোজ়িট বা এলআইসির মত সাবেক বিনিয়োগের মেঠো পথের সঙ্গেই মিলেনিয়াল প্রজন্ম আজ অনায়াসে হাঁটছে শেয়ার বাজারের ঝাঁ-চকচকে ছ’লেন এক্সপ্রেসওয়েতে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ বা এনএসই জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে ভারতে ১০ কোটি লগ্নিকারী সরাসরি শেয়ার বাজারের সঙ্গে যুক্ত। সেই সংখ্যাটা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। প্রতি দিন গুরুত্ব বাড়ছে শেয়ার বাজারেরও। এই বিপুলবপু শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণের ভার সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বা সেবির হাতে। বাজারের ভালমন্দ দেখার পাশাপাশি সেবির মস্ত বড় কাজ এই বিপুল বাজারের একমাত্র নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিজেদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। যাতে কোনও ভাবেই কোটি কোটি বিনিয়োগকারীর আস্থা টোল না খায় এবং কোনও রকম অনৈতিকতার আশ্রয় নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থা অতিরিক্ত সুবিধা অর্জন করতে না পারে। স্বভাবতই, সেবির মাথায় যিনি থাকবেন, তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা হবে প্রশ্নাতীত। আর এখানেই বেধেছে যত গোলমাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy