উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে হাওড়ার নারিটের বাসিন্দা শেখ নাসিরুদ্দিনের। ছেলে মিখাইল আলম ইউক্রেনে গিয়েছেন ডাক্তারি পড়তে। কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ করে ছেলেকে পড়তে পাঠিয়েছিলেন। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে তিনি আর তাঁর স্ত্রী চাইছেন ভালয় ভালয় ঘরের ছেলে ঘরে ফিরুক।
ইউক্রেনের ইভানোতে কলেজ হোস্টেলে রয়েছেন মিখাইল আলম। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাত হলেই হোস্টেলের আলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাইরে বেরোনো মানা। পাঁচ ঘণ্টা ধরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে কোনমতে দু’দিনের খাবার জোগাড় করতে পেরেছেন মিখাইল। তাঁর বাবা-মার আশঙ্কা ওই খাবারে কতদিনই বা চলবে।
ছেলেকে বারবার ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। ফোন করছেন নবান্নের হেল্পলাইনে। যদি কোনও খবর মেলে।
মিখাইল বাড়িতে জানিয়েছে, দূতাবাস থেকে শনিবার ভারতে ফেরত পাঠানোর কথা বলেছে। এর জন্য ইউক্রেনের সীমান্তে যেতে হবে তাঁকে।
মিখাইলের বাবার কথায়, ‘‘টাকা গিয়েছে যাক। ছেলে ঘরে ফিরুক।’’ তাঁদের রাত-দিন এক হয়েছে। মা সারা ক্ষণ মোবাইল হাতে নিয়ে বসে আছেন। গ্যালারি খুলে দেখে যাচ্ছেন ছেলের একের পর এক ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy