প্রতিবেদন: সুদীপ্তা, সম্পাদনা: সৈকত
এ বারেও ঘাটতি! রাজস্ব আদায়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো তো দূর অস্ত, উল্টে আরও ৬৭০ কোটি টাকা কম আয় করল কলকাতা পুরসভা। লোকসভা ভোটের আগে ‘শেষ’ বাজেট পেশ করতে এসে ঘাটতির কথা স্বীকার করে নিলেন খোদ কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। গতবার বাজেট পেশ করে পুরসভাকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন মেয়র। কলকাতা পুরসভা সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। ফিরহাদের সাফাই, “যে ভাবে ভেবেছিলাম, এখনও তা পারিনি করতে। একটা বড় আয় চলে যাচ্ছে। চাইলেই রাজস্ব হাতে চলে আসে না, আয় যেমন হচ্ছে তেমন ব্যয়ও হচ্ছে। সংসারের মতো পুরসভাও পরিকল্পনা করেই চালাতে হয়।” মহানাগরিকের বক্তব্য, “আমি কোনও ম্যাজিক জানি না। কলকাতা পুরসভার ২০০০ কোটি টাকা ঘাটতি, আস্তে আস্তে কমবে। আমার কাছে নাগরিক পরিষেবাই সব থেকে বেশি জরুরি। বাজেটে ঘাটতি থাকে থাক, নাগরিক পরিষেবায় কোনও ঘাটতি থাকবে না।” তবে এ বার অনেক বকেয়া কর আদায় করেছে পুরসভা। টাকার অঙ্কে যা কম করে ৬০০ কোটি। কলকাতা পুরসভার যে কর্মচারিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে করদাতাদের বুঝিয়ে কর আদায় করছেন, তাঁদের পুরষ্কৃত করার কথা ভাবছেন মেয়র। যদিও মেয়রের এই আশ্বাসে স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের চিঁড়ে ভিজছে না।
বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “প্রত্যেক বছর দশ কোটি করে ঘাটতি কমাচ্ছে, আর তা নিয়ে নৃত্য হচ্ছে। শুনলাম মেয়র বলেছেন, নাগরিক পরিষেবায় কোনও ঘাটতি হবে না। মানুষকে তো দিশা দেখাতে হবে। জানাতে হবে তো, কোথা থেকে ঘাটতি পূরণ হল? কেন্দ্রের সাহায্য নেবেন না, রাজ্যের অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী— কী ভাবে পুরসভা নাগরিক পরিষেবা দেবে? পুরসভা ঘুমিয়ে আছে। কোটি কোটি টাকা কর বাকি, পুরসভা জনসমক্ষে নিয়ে আসুক সেই তথ্য।” সুর নরম করে হলেও বাজেট নিয়ে বাম কাউন্সিলর সিপিআইয়ের মধুছন্দা দেবের বক্তব্য, “কোথায় কতটা খরচ করব, সেই পরিকল্পনাই বাজেট। আমরা বাজেট অনুযায়ী কাজ করতে পারলে ঘাটতিটা মিটবে। যে খাতের জন্য বাজেট তৈরি করছি, সেখানে ব্যয়ই করতে পারা যাচ্ছে না। সে কারণে উন্নয়নমূলক কাজও থমকে আছে।”
শনিবার বাজেট পেশের পর সোম এবং মঙ্গল মেয়রের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবে কলকাতা পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy