ঘড়িতে সবে সন্ধ্যা। বাড়ির মুখে পুরসভার পার্কের গাছ। গাছের মাথায় কেমন যেন ধোঁয়া ধোঁয়া। পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে শরীরে আলতো শিরশির। এলোমেলো হাওয়া। এ হাওয়ার অন্য গন্ধ। তেমন লোকের গন্ধবিচারে সময় লাগে না। নাকের গোড়ার রোঁয়ার নড়াচড়া জানিয়ে দিয়ে যায়, এ কার পদধ্বনি! কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি... বাঙালির ভূত চতুর্দশী। কালীপুজোর এই সময়টায় তেনাদের আনাগোনা বাড়ে জানা কথা। উঁহু, নাম নিলেও এই ভরসন্ধ্যায় রক্ষে নেই। অনেকে নাকি তাঁদের ঘোরাফেরাও টের পান। মুহূর্তে বুঝে যান, বাতাসে ভূতের মরসুম। বাংলা সাহিত্যে চিরকালই ভূতের ব্যাপক কদর। প্রাচীন কাল তো বটেই, হাল আমলের সাহিত্য রচনাও ভূত বিনে হচ্ছে না। শুধু কি ভূত, গোটা ভূত জগতের জাতবিচার অবধি করে ছেড়েছে বাঙালি। পেতনি থেকে ব্রহ্মদৈত্য, মামদো থেকে ডাইনি— কোন ভূত কেমন, জায়গামতো মজুত আছে সব তথ্য। এই বেলা জেনে নিন ফাঁকা রাস্তায় আচমকা ঠেলা খেয়ে বা পিঠে কিল খেয়ে গেলে কী করে বুঝবেন, কার কাণ্ড। আনন্দবাজার অনলাইন বেছে নিল আধ ডজন ভূত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy