কৌশিকী অমাবস্যা অন্য পাঁচটা সাধারণ অমাবস্যার থেকে একেবারেই আলাদা। কথিত, এই তিথিতে তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করে ‘মা তারা’র দর্শন পেয়েছিলেন সাধক বামদেব। তারাপীঠে শ্মশানের শ্বেত শিমূলতলায় সাধনা করেছিলেন বামদেব। তন্ত্রমতে তারারাত্রিও বলা হয় এই দিনটিকে। দেবী কৌশিকী রূপে শুম্ভ-নিশুম্ভকে নিধন করেছিলেন এই বিশেষ দিনে। শুক্রবার সেই তিথি। কৌশিকী অমাবস্যা।সকালে মা তারার শিলামূর্তি স্নান করিয়ে মঙ্গলারতিতে দিনের শুরু। স্নানের পর মূর্তিকে পরানো হয় রাজবেশ। ফুলের সাজে সাজানো হয় ‘মা তারা’কে। আচার মেনে, দুপুরে ‘মা’কে দেওয়া হয় মধ্যাহ্ন ভোগ। ভোগে থাকে শোল মাছ পোড়া, সাত রকমের ভাজা, মাছ, ভাত, পোলাও। মঙ্গলারতির পর ফল, মিষ্টি, ক্ষীর দিয়ে দেওয়া হয় শীতল ভোগ। এর পর দিনভর চলে বিশেষ পুজোপাঠ।কৌশিকী অমাবস্যা তন্ত্রসাধকদের কাছে বিশেষ দিন। তন্ত্রসাধনায় সিদ্ধিলাভের আশায় দূর দূরান্তের সাধু-সন্ন্যাসীরা ছুটে আসেন তারাপীঠ মহাশশ্মানে। পর পর দু’বছর করোনার কারণে কৌশিকী আমাবস্যায় পুণ্যার্থীদের জন্য বন্ধ ছিল তারাপীঠ মন্দির। তাই এই বছর কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে। ভিড় সামালাতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy