Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

গণনার রাতেও সংঘর্ষ, ভাঙড়ে নিহত ২ আইএসএফ কর্মী-সহ ৩, গুলিবিদ্ধ পুলিশও

গণনায় কারচুপির অভিযোগে ভাঙড়-২ ব্লকের কাঁঠালিয়া গণনাকেন্দ্রে উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু। গুলিবিদ্ধ পুলিশের এক পদস্থ কর্তা এবং দুই পুলিশকর্মী।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভাঙড়  শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৩ ০৯:২৯
Share: Save:

মঙ্গলবার ভাঙড়-২ ব্লকের কাঁঠালিয়ার গণনাকেন্দ্রে চলছিল জেলা পরিষদের ভোটগণনা। আইএসএফ নেত্রী রেশমা খাতুনের অভিযোগ, আইএসএফের জেলা পরিষদের প্রার্থী জাহানারা খাতুন প্রথমে পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিডিও জানান, জাহানারা ৩৬০ ভোটে হেরে গিয়েছেন। আইএসএফ নেতৃত্বের দাবি, প্রশাসনের সঙ্গে ‘সেটিং’ করেছে তৃণমূল। তার পরই ভোটের এই ফল ঘোষণা হয়েছে। তাঁরা পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। পুলিশের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের উপর আক্রমণ শুরু করে। এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। কিন্তু অবস্থা বদলায়নি। আইএসএফের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশ গুলি চালিয়েছে। তাতে তাঁদের বেশ কয়েক জন কর্মী আহত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে হাসান আলি নামে বছর ছাব্বিশের এক কর্মীর। কলাডাঙার বাসিন্দা হাসানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ হাসানকে কয়েক জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আক্রমণ করেন। তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ওই যুবক।

রাজু মোল্লা নামে আরও এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ৩৫ বছরের রাজুর দেহ উদ্ধার হয়েছে ভাঙড়-২ ব্লক এলাকায়। তাঁর পরিবারের দাবি, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।মঙ্গলবার রাতে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে ঘটকপুকুরে দিদির বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় কাঁঠালিয়া এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন রাজু। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, পুলিশের এক পদস্থ কর্তার হাতে গুলি লেগেছে। এক পুলিশ কর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে গুলি এবং বোমার লড়াইয়ের মধ্যে সারা রাত গণনাকেন্দ্রের একটি ঘরেই আটকে ছিলেন এক ভোটকর্মী ও পুলিশকর্মীরা। বুধবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এসে তাঁদের উদ্ধার করে। সকাল সকাল ঘটনাস্থলে যান এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সিদ্ধনাথ গুপ্ত-সহ পুলিশের পদস্থ কর্তারা। শুরু হয় ধরপাকড়। আপাতত থমথমে পুরো এলাকা। নতুন করে অশান্তির খবর নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE