প্রতিবেদন: সুদীপ্তা ও প্রচেতা, সম্পাদনা: বিজন
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে একের পর এক অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসানো হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য করা হয়েছে অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও নতুন উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত তীব্রতর হয়ে উঠছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, এ ভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চালানোর জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধ করে দেবে রাজ্য।শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিকাশ ভবনে ৩১ জন রেজিস্ট্রারকে ডেকেছিলেন বৈঠকের জন্য। সেখানে ১২ জন রেজিস্ট্রার বৈঠকে এসেছিলেন। প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁরা আসেননি তাঁদের রাজভবন থেকে এসএমএস করে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে যে তাঁরা যেন এই বৈঠকে না যান। রাজভবন থেকে যে এরকম হুমকি এসেছে, আমাদের কাছে তার প্রমাণ আছে।’’ শিক্ষাঙ্গনে রাজভবনের এই ‘দখলদারি’ ভাল চোখে যে দেখছে না রাজ্য, কড়া ভাষায় সে কথাও জানিয়েছিলেন ব্রাত্য।
শনিবার, বিধাননগরে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আমি অ্যাকটিং করছি? অ্যাকশন কাকে বলে আজ মধ্যরাতের পরে দেখতে পাবেন’’। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই টুইট করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। টুইটে রাজ্যপালের নাম না করে তাঁকে ‘রাতের রক্তচোষা’ বলে উল্লেখ করেন ব্রাত্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy