নজির গড়ল টয় ট্রেন। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ইতিহাসে আগে কখনেও হয়নি।শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন চলত ঠিকই, কিন্তু লাভের মুখ দেখতে পেত না রেল। প্রতি বছরই লোকসান। টয় ট্রেন নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু সে ভাবে ওই সব পরিকল্পনা ফলপ্রসূ হয়নি। ধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন, রেকের রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি— সব মিলিয়ে বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয়। গত দু’বছর করোনার কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে পাহাড়। সমস্ত ঝড়ঝাপটা কাটিয়ে উঠে এ যেন ম্যারাথন দৌড়। লাভ করেছে টয় ট্রেন।উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ইতিহাসে এই প্রথম লাভের মূল কারণ, রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক টয় ট্রেনে চড়েছেন। এই মুহূর্তে প্রতি দিন এক হাজার আসনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। পুরেনো রেকর্ড অনুযায়ী, টয় ট্রেনে বছরে এক লক্ষ যাত্রী হত। চলতি বছরে শুধুমাত্র এপ্রিল-মে মাসেই ৩৫ হাজারের বেশি পর্যটক টয় ট্রেন চড়েছেন। এই লাভের অন্যতম কারণ, আমরা যেমন ট্রেনে আসনের সংখ্যা বাড়িয়েছি, তেমনই ঘুম ফেস্টিভ্যাল, সামার ফেস্টিভ্যাল, ডিএইচআর ফেস্টিভ্যাল করেছি। এসি কোচ থেকে শুরু করে ভিস্টাডোম কোচ সংযোজন করেছি টয় ট্রেনে। যাতায়াতের ট্রেন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ছোট ছোট ট্রিপের সংখ্যা বাড়িয়েছি। এই সব পরিকল্পনা কাজ করেছে।’’রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, টয় ট্রেন থেকে ২০২২-এর মে মাসে সর্বোচ্চ মাসিক উপার্জন হয়েছে ৩.২০ কোটি টাকার কাছাকাছি। এর আগে ২০১৮-১৯ সালের মে মাসে আয় হয়েছিল ২.০৭ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ এর তুলনায় এ বার প্রায় ৫৪ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। এই অর্থবর্ষের মে মাসে টয় ট্রেন ৪.৭৩ কোটি টাকারও বেশি আয় হয়েছে টয় ট্রেন থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy