পূর্বাভাস মিলিয়ে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ল বর্ষা পরবর্তী ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয় ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল। আবহাওয়া অফিসের বক্তব্য, ঘূর্ণিঝড়ের দাপট সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ওড়িশার ভদ্রক, কেন্দ্রপড়া, বালেশ্বর, জগৎসিংহপুরে। এই জেলাগুলিতে ‘ডেনা’র ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সব থেকে বেশি পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ‘ডেনা’র ল্যান্ডফল পক্রিয়া চলে কম বেশি সাড়ে ৮ ঘণ্টা। এই সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। স্থলভাগে ‘ডেনা’র সঙ্গী হয় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগের দমকা হাওয়াও। হাওয়া অফিসের বক্তব্য অনুযায়ী, সর্বশক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ার পর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে ‘ডেনা’। ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে ক্রমশ উত্তর-দক্ষিণের দিকে এগোতে থাকে ঘূর্ণিঝড়। যার ফলে দুর্যোগের মুখে পড়ে উত্তর-ওড়িশা। আগামী ৬ ঘণ্টা এই অঞ্চলগুলিতে নিম্নচাপের প্রভাব থাকবে, পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
ওড়িশার ধামরা এবং ভিতরকণিকার হাবলিকাঠি নেচার ক্যাম্পের কাছাকাছি ল্যান্ডফল হওয়ার পর ‘ডেনা’ তার শক্তি খোয়ালেও, শুক্রবার সারাদিন তার প্রভাব থাকবে। ২৫ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার বৃষ্টি হবে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায়। শুক্রবার সকাল থেকেই টানা বৃষ্টি কলকাতায়। দুর্যোগ চলে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার উপকূলেও। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে হাওড়া, হুগলিতে। পূর্বাভাস তেমনই। জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রামেও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তাছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের আরও একাধিক জেলা, যেমন— পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং দুই বর্ধমানেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি হবে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগ থাকবে রবিবার পর্যন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy