Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪
Siliguri

করোনা ডুবিয়েছে, বেড়েছে নির্মাণ খরচ, মূর্তির দাম বাড়াতে চেয়েও আশঙ্কায় কুমোরটুলি

কোভিডের কারণে গত দু’বছরের লোকসানের বোঝা, এ বার কাঁচামালের ৩৫ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি। মূর্তির বানানোর খরচ তুলতে পারবেন তো? দোটানায় শিলিগুড়ির কুমোরটুলি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২২ ১৬:৪৬
Share: Save:

ব্যস্ততা রয়েছে। কিন্তু কোথাও কোনও উচ্ছ্বাস নেই। আশঙ্কার একটা চোরাস্রোত বইছে কুমোরটুলিতে। মহানন্দাপাড়ার বহু প্রাচীন এই কুমোরটুলি থেকে শুধু শিলিগুড়িই নয়— দার্জিলিং, কালিম্পং, এমনকি, সিকিমেও মূর্তি যায়। পুজোর আর ১০০ দিনও বাকি নেই। অন্যান্য বারের মতো এ বারও তুমুল ব্যস্ততা। কিন্তু তার মধ্যেই ভাবাচ্ছে গত দু’বছরের কোভিড কাঁটার অভিজ্ঞতা।

ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ির বড় বড় ক্লাবগুলির খুঁটিপুজো শেষ৷ প্যান্ডেল তৈরির কাজও শুরু হয়েছে কোথাও কোথাও। প্রথা মেনে রথযাত্রার দিন কাঠামোপুজো হয়। দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদে তার আগে থেকেই যদিও মূর্তি গড়ার কাজ শুরু করে দেন মৃৎশিল্পীরা। ‘ফাইনাল টাচ আপ’-এর জন্য যেন সময় পাওয়া যায়!

গত দু’বছর খুবই খারাপ কেটেছে কুমোরপাড়ার। পুজো হওয়া না-হওয়ার দোলাচল ছিল। মৃৎশিল্পীদের মতে, শেষমেশ পুজো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেই অর্থে দুর্গোৎসব হয়নি। যাঁদের বাড়িরপুজো না করলেই নয়, তাঁরাই দর কষাকষি করে ন্যূনতম বাজেটে মূর্তি গড়িয়েছেন। সরকারি অনুদান ও ক্লাব সদস্যদের টাকায় পুজো সারতে হয়েছে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন কমিটিকে। তাদের বাজেটও কম ছিল। সে ক্ষেত্রেও কম দামে মূর্তি বিক্রি করতে হয়েছে। লাভ বা লোকসানের অঙ্ক মেলাতে পারেনি কুমোরটুলি।

গত দু’বছরের লোকসানের বোঝা তো রয়েইছে, এ বার তার সঙ্গে জুড়েছে কাঁচামালের দামে প্রায় ৩৫ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি। ফলে মূর্তির দাম সেই অনুযায়ী ঠিক করতে হবে। না হলে লোকসানের বোঝা আরও বাড়বে। কিন্তু সেই দাম দিতে পারবেন তো উদ্যোক্তারা? কারণ, পুজো বারোয়ারি হোক বা বাড়ির— আর্থিক অনটন তো উল্টো দিকে অর্থাৎ উদ্যোক্তাদেরও রয়ে গিয়েছে! সব মিলিয়ে দোটানায় শিলিগুড়ির কুমোরটুলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE