অন্ধ্র এবং ওড়িশা সীমান্তে রেল দুর্ঘটনায় ভোগান্তি। কেরলের তিরুবনন্তপুরম থেকে শালিমার পৌঁছতে দূরপাল্লার ট্রেন সময় নিল পাঁচ দিন। একশো ঘণ্টা রেলযাত্রার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন কুঁদঘাটের বাসিন্দা প্রতীক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবার। ২১ সেপ্টেম্বর, সপ্তমীর দিন স্ত্রী এবং একমাত্র সন্তানকে নিয়ে কেরল বেড়াতে গিয়েছিলেন প্রতীক। সপ্তাহখানেক পর কেরল থেকে বাংলায় ফেরার জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর, শনিবার বিকেলে তিরুবনন্তপুরম সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে ২২৬৪১ শালিমার এক্সপ্রেসে চেপে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। একশো ঘণ্টা পার, ধুঁকতে ধুঁকতে কোনও রকমে সেই ট্রেন শালিমার এসে পৌঁছল বুধবার দুপুরে। শুধু প্রতীকই নন, এই ট্রেনে সওয়ার এমন অনেক যাত্রীই রয়েছেন যাঁরা বিভীষকার অভিজ্ঞতার কথা ভেবেই আঁতকে উঠছেন। প্রতীকের একমাত্র সন্তান দিব্যাংশ জ্বরে আক্রান্ত। হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছেন এমন যাত্রীও ছিলেন এই শালিমার এক্সপ্রেসে। কুঁদঘাটের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সঙ্গে একই ট্রেনে যাত্রা করছেন, এমন এক সহযাত্রী এই বিলম্বের কারণেই তাঁর মায়ের সঙ্গে শেষ দেখাটুকুও করতে পারেননি। এমনও যাত্রী এই ট্রেনে ছিলেন, যিনি বাধ্য হয়ে ট্রেন ছেড়ে দিয়ে বিমানপথে সওয়ার করতে বাধ্য হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই পরিষেবা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখা। বিশেষ করে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই এই ঘটনায় আরও একবার আতশকাচের তলায় ভারতীয় রেল। দক্ষিণ-পূর্ব শাখার রেল জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান, ‘‘অন্ধ্র এবং ওড়িশা সীমান্তে রেল দুর্ঘটনার কারণে একাধিক ট্রেনকে নাগপুর হয়ে গন্তব্যে ফিরতে হচ্ছে। প্রায় তিনশো কিলোমিটার ঘুরে আসতে সময় লাগছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব রকমের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy