প্রতিবেদন: রিঙ্কি , সম্পাদনা: সৈকত
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী এবং বর্তমান পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তর পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় তাঁদের। এ দিন অভিযুক্তদের আইনজীবীদের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে ধৃতেরা তদন্তে সহযোগিতা করেছেন, তাই তাঁদের আর পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর দরকার নেই। অন্য দিকে, বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি গোপাল হালদার এই অপরাধকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে দাবি করে জেল হেফাজতের আবেদনের বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে আদালত সৌরভ চৌধুরীকে ২৫ অগস্ট ও বাকি দু’জনকে ২৬ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এ দিন আদালতে পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে একটি হোয়াটসঅ্যাপ কথোকপকথন এসেছে। ওই ‘চ্যাট’-এ মৃত ছাত্রকে বিবস্ত্র করে হস্টেলের বারান্দার পাঁচিল দিয়ে হাঁটানোর কথা রয়েছে বলেই আদালতে জানান সরকারি আইনজীবী। অপর দিকে অভিযুক্তদের আইনজীবীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে মনোতোষের একটি ডায়েরি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে, যেখানে ধৃত পড়ুয়া তাঁর সঙ্গে ঘটা র্যাগিংয়ের বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ধৃত তিন পড়ুয়াই আতঙ্কে রয়েছেন, তাঁদের কাউন্সেলিং দরকার।
এ দিন দীপশেখরের বাবা মধুসূদন দত্ত আদালতে শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়েই যে র্যাগিং হয় তা সকলেই জানেন। প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব ছিল, “যদি কারও প্রাণ যায়, তা হলে সেটা তাঁর ব্যাপার।” মদুসূদনের বক্তব্য, মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সুযোগ পেয়েও স্নাতক পাঠক্রমের জন্য অর্থনীতিকেই বিষয় হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের গুণমুগ্ধ দীপশেখর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy