ব্যাগের সঙ্গে থাকা নাম, ঠিকানার ট্যাগসমেত ছবি তুলে রাখা শ্রেয়। ছবি : সংগৃহীত
ঘোরার সময়টুকু একেবারে নির্ঝঞ্ঝাট এবং মসৃণ রাখতে গেলে আগে থেকে অনেক পরিকল্পনা করতে হয়। যাঁরা এই কাজটি করেন, তাঁরা জানেন কত মাথা খাটিয়ে সব ব্যবস্থা করতে হয়। যাত্রার ধকল থেকে শরীর এবং যাত্রার সময়, এই দুই বাঁচানোর জন্য অনেকেই বিমানে যাত্রা করতে পছন্দ করেন। নিজের জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়ার ভয় এবং সেই সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা এড়াতে অনেকে আবার বিমাও করিয়ে রাখেন। কিন্তু এত সব করেও যদি বিমানবন্দরে ‘লাগেজ বেল্ট’ থেকে হারিয়ে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়া স্যুটকেস নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়, তা হলে তো ঘোরাটাই মাটি।
বিমানে যাওয়া করার অভ্যাস আছে যাঁদের, তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন বিমানবন্দরে ঢোকার পর, নির্দিষ্ট বিমান সংস্থার কাছে আপনার ভারী, বড় ব্যাগ বা জিনিসপত্র জমা দেওয়ার পর, যদি সেখান থেকে কিছু হারিয়ে যায় বা ভেঙে যায়, সংস্থার পক্ষ থেকে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। শুধু তা-ই নয়, ব্যাগের মধ্যে থাকা মূল্যবান জিনিসগুলির রসিদ থাকলে, সে সব কিছুর মূল্যও ফেরত দেওয়ার কথা।
কিন্তু মুশকিল হল বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যাত্রীদের ব্যাগ বা স্যুটকেসগুলি দেখতে এক রকম হওয়ায়, নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা যায় না। ব্যাগের মধ্যে কী আছে, তার ছবি বা রসিদও অনেক সময় সঙ্গে থাকে না। হারানো জিনিস ফেরত দেওয়া বা নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেমন সংস্থার দায়িত্ব, তেমন যাত্রীদেরও কিছু দায়িত্ব থাকে। যে ব্যাগটি হারিয়েছে, সেই ব্যাগটি যে তাঁরই বা ব্যাগের ভিতরের জিনিসগুলি যে তিনিই কিনেছিলেন, তা প্রমাণ করার দায়িত্ব কিন্তু যাত্রীর। না হলে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ওই সংস্থার কর্মীদেরও খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
যাত্রীসুরক্ষার জন্য জানানো হয়েছে, শুধু ব্যাগ বা ব্যাগের মধ্যে থাকা জিনিসগুলিই নয়, সম্ভব হলে মূল্যবান জিনিসপত্রের রসিদ এবং ব্যাগের সঙ্গে থাকা নাম, ঠিকানার ট্যাগসমেত ছবি তুলে রাখাই শ্রেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy