কাশ্মীরে অভিনেত্রী তৃপ্তি ডিমরি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
লাদাখে শুটিংয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী তৃপ্তি ডিমরি। সমাজমাধ্যমে সেই ছবিও ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। কাজের ফাঁকেই প্রকৃতির রূপে মজেছেন সুন্দরী। আর সেই ছবি দেখে অনেকেরই মন পাহাড়ের দিকে ঝুঁকছে।
আপনারও কি লেহ কিংবা লাদাখ যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে? রুক্ষ-ঊষর ভূ-প্রকৃতির মধ্যে রয়েছে সৌন্দর্য। পরিচিত সজীব পার্বত্যভূমি এ দিকে বন্ধুর। বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে এখানের ভূপ্রকৃতি, মানুষজন, সংস্কৃতি— সবই যেন একটু অন্য রকম। কিন্তু প্রকৃতি এখানে উপুড়হস্ত। প্রকৃতির সেই রূপ সৌন্দর্য আস্বাদনে যদি লাদাখ যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তা হলে ঘুরে নিতে পারেন এই জায়গাগুলি।
নুব্রা ভ্যালি
লাদাখের অন্যতম আকর্ষণ হল নুব্রা ভ্যালি। চারপাশে পাহাড় ঘেরা এই উপত্যকার সৌন্দর্যের টানে ছুটে আসেন পর্যটকেরা। এখানেই দেখা মেলে দুই কুঁজওয়ালা উটের। ফোটে অর্কিডও। নুব্রার থেকে ঘুরে নেওয়া যায় গুম্ফা, পানামিক উষ্ণ প্রস্রবন। পায়ে হেঁটে ঘুরে নেওয়া যায় বিভিন্ন স্থান। এখানকার দুই বিখ্যাত বৌদ্ধ মঠ দিস্কিত ও হান্ডুরের মধ্যে রয়েছে শীতল মরুভূমি। ব্যাক্ট্রিয়ান উটের পিঠে চেপে মরুভূমি ঘোরার সুযোগও রয়েছে পর্যটকদের।
প্যাংগং হ্রদ
মনে আছে, ‘থ্রি ইডিয়টস্’ ছবির শেষ দৃশ্য। নায়িকা স্কুটি করে আসছেন নায়কের সঙ্গে দেখা করতে। নীল রঙের একটি হ্রদের ধারে। শুটিংটি হয়েছিল প্যাংগং হ্রদে।
ধূষর ঊষর ভূমির উপর নীল জলের হ্রদ। ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে এই হ্রদের জলের রংও অবশ্য বদলায়। কখনও তাতে লাগে সবুজের ছোঁয়া। ছবির মতো সুন্দর এই হ্রদ ও তার আশপাশে একাধিক হিন্দি ছবির শুটিং হয়েছে। মণিরত্নম, রাজকুমার হিরানী-সহ একাধিক পরিচালক শুটিংয়ের জন্য এই স্থান বেছে নিয়েছেন স্থানটিকে। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত হ্রদটি ভারত থেকে তিব্বত পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি বিশ্বের উচ্চতম লবণাক্ত জলের হ্রদ।
খারদুং-লা
লেহ জেলার আর একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থল খারদুং-লা। বিশ্বের উচ্চতম গাড়ি চলাচলকারী পাস হল এটি। সমু্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭, ৫৮২ ফুট উচ্চতায় এটি অবস্থিত। উচ্চতাজনিত কারণে এখানে পর্যটকদের বেশি ক্ষণ দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। এখান থেকে চারপাশের দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম।
চুম্বক পাহাড়
লেহ-র ম্যাগনেটিক হিল বা চুম্বক পাহাড়ও পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। মনে করা হয়, পাহাড়টিতে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র আছে। যার ফলে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধন করে দিলেও, তা চড়াইয়ের দিকে এগোতে থাকে। চারদিকে ধূসর পাহাড় আর, উপত্যকার বুক চিড়ে চলে গিয়েছে কালো পিচের রাস্তা। এই জায়গাটির সৌন্দর্যও কম নয়।
হেমিস জাতীয় উদ্যান
জীব বৈচিত্রে ভরপুর হেমিস জাতীয় উদ্যান তুষার চিতাবাঘের (স্নো লেপার্ড) আস্তানা। লেহ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে জাতীয় উদ্যানটি। এখানে বাস সংখ্যা কম আসে বেশ কিছু স্তন্যপায়ীর। লেহ গেলে সকলেই এখানে যান না। তবে বন্যপ্রাণ নিয়ে আগ্রহ থাকলে এটি ঘুরে নিতে ভুলবেন না।
কলকাতা থেকে লাদাখ
কলকাতা থেকে লাদাখ বিমান ও সড়কপথে যাওয়া যায়। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লি হয়ে লেহ। এ ছাড়া, হিমাচল প্রদেশ ও কাশ্মীর হয়েও সড়কপথে লাদাখ যেতে পারেন। ট্রেনে হিমাচল এবং কাশ্মীর যাওয়া যায়। সেখান থেকে সড়কপথে লেহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy