সামসিং ভ্রমণের সাত সতেরো ছবি: সংগৃহীত
সামসিং বাংলা-ভুটান সীমান্তে অবস্থিত ছোট্ট একটি পাহাড়ি গ্রাম। পর্যটকদের কাছে এখনও স্বল্প পরিচিত এই জনপদটি। চা ও কমলালেবু চাষই এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা। কাজেই এখানে গেলে সবুজের পাশাপাশি চোখে পড়তে পারে কমলা রংও। পাইনের তুলনায় শাল, শিমুলের সংখ্যা এখানে কিছুটা বেশি। বিশাল বৃক্ষ ঘেরা সামসিঙে প্রচুর পাখিও দেখতে পাবেন।
কী দেখবেন?
প্রকৃতির কোলে অবস্থিত সামসিঙে পাখি দেখেই কেটে যেতে পারে দু’টি দিন। কিন্তু চাইলে নিজস্ব গাড়ি করে ঘুরে নিতে পারেন কাছেপিঠেও। কাছেই রয়েছে রকি আইল্যান্ড। সামসিং থেকে দেড়-দু’কিলোমিটার দূরে মূর্তি নদীর পাশে অবস্থিত রকি আইল্যান্ড এখন বেশ জনপ্রিয়। চার কিলোমিটার দূরে রয়েছে সানতালেখোলা। নেওড়া ভ্যালিও এখান থেকে খুব একটা দূরে নয়। নানা ধরনের পশুপাখির বাস এই জাতীয় উদ্যানে।
কী ভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে সামসিঙের দূরত্ব ৬৩৮ কিলোমিটার। শিলিগুড়ি থেকে দূরত্ব ৮১ কিলোমিটার। শিলিগুড়ির থেকে সামসিং যাওয়ার জন্য বাস ছাড়ে। তবে বাসের সংখ্যা বেশ অপ্রতুল। বরং শেয়ার জিপে বা গাড়ি রিজার্ভ করে চলে যেতে পারেন সামসিং। কিংবা গাড়িতে করে চালসা চলে যেতে হবে। চালসা থেকে সামসিঙের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। সড়ক পথে যাওয়ার সময় চালসা পেরিয়ে গেলেই দু’পাশে শুরু হয়ে যাবে দিগন্ত বিস্তৃত চা বাগান।
ট্রেনে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে চেপে নামতে হবে নিউ মাল জংশনে। সেখান থেকে মেটেলি হয়ে সামসিং ৩০ কিলোমিটার।
কোথায় থাকবেন?
সামসিঙে থাকার জন্য বন দপ্তরের নিজস্ব বাংলো রয়েছে। বাংলো রয়েছে সানতালেখোলাতেও। তা ছাড়া বেশ কিছু বেসরকারি হোটেল ও লজও রয়েছে এখানে। পাশাপাশি রয়েছে একাধিক হোম-স্টে। পর্যটকদের কাছে ক্রমেই বাড়ছে এই ধরনের হোম-স্টেগুলির জনপ্রিয়তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy