প্রায় হাজার বছর আগে রাজরাজ চোলের আমলে কল্যাণসুন্দরেশ্বর মন্দির তৈরি হয়। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতের প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম হল কল্যাণসুন্দরেশ্বর মন্দির। অসাধারণ স্থাপত্য এবং ভাস্কর্যের জন্য খ্যাত এই শিবমন্দিরটি তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর থেকে ৭ কিলোমিটার ভিতরে নল্লুর গ্রামে অবস্থিত ।এই মন্দির দক্ষিণ ভারতের দর্শনীয় একটি স্থান। শুধু ধর্মীয় ঐতিহ্য নয়, এই মন্দির জনপ্রিয় হওয়ার পিছনে রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্বও। প্রায় হাজার বছর আগে রাজরাজ চোলের আমলে এই মন্দির তৈরি হয়। দু’টি কালো পাথরে তৈরি এই শিবলিঙ্গের অর্ধেকটা সোনার পাতে মোড়া। পর্যটকদের কাছে এই মন্দির ‘ব্ল্যাক প্যাগোডা’ নামেও পরিচিত। তবে, এই শিবলিঙ্গের বিশেষত্ব হল তার রং। দিনের বিভিন্ন সময়ে শিবলিঙ্গটি বিভিন্ন রং ধারণ করে। এইটিই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। লিঙ্গের রং বদলে যাওয়ার পিছনে মানুষের কোনও কারসাজি নেই। কী ভাবে লিঙ্গের রং বদলে যায়, তার বৈজ্ঞানিক কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
সারা দিনে কোন কোন সময়ে মন্দিরের রং পরিবর্তন হয়?
১) বিশ্বাস, এই সময়ে মহাদেব তাঁর ত্রিনয়ন বিশিষ্ট ‘বৈদ্যনাথ’ রূপ ধারণ করেন। তাঁর মাথায় সোনার মুকুট, হাতে কুঠার। হাতে থাকে ধনুক। বৈদ্যনাথের বাহন নন্দী ষাঁড়। প্রতি দিন সকাল ৮টায় এই অবতার পূজিত হন ফুল এবং চন্দনে। এই সময়ে লিঙ্গের রং থাকে তামাটে। ভোর ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দেখা যায় এই অবতার।
২) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লিঙ্গের রং হয়ে যায় হালকা লাল।
৩) সকাল গড়িয়ে দুপুর হলে পৌনে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিবলিঙ্গের রং হয় গলানো সোনার মতো।
৪) দুপুর ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টে পর্যন্ত লিঙ্গের রং যে ঠিক কেমন হয়, তা সকলেরই অজানা। হয়তো এই সময়ে কিছু ক্ষণের জন্য মন্দির বন্ধ থাকে, তাই এই সময়ে ঠিক কোন রং লিঙ্গ ধারণ করে, সে সম্পর্কে কারও বিশেষ ধারণা নেই।
৫) দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবার কালো পাথরের শিবলিঙ্গের রং হয়ে যায় পান্নার মতো সবুজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy