Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Hoogly

Hoogly: ব্যান্ডেল চার্চ থেকে ফরাসি সংগ্রহশালা, হুগলি জেলা জুড়েই ইতিহাসের নানা হাতছানি

পাহার সমুদ্র জঙ্গল নেই। তবে আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান। হুগলি জেলাও এক-দু’দিনের বেড়ানোর গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে।

হুগলি জেলাও এক-দু’দিনের বেড়ানোর গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে।

হুগলি জেলাও এক-দু’দিনের বেড়ানোর গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:৪৪
Share: Save:

জমিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। ছুটির মেজাজ সর্বত্র। বছর শেষের এই সময়টিতে ঘুরে বেড়াতে কার না ভাল লাগে!

পাহার সমুদ্র জঙ্গল নেই। তবে আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান। তাই রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো হুগলি জেলাও এক-দু’দিনের বেড়ানোর গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে।

হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল অথবা বর্ধমান লোকালে চেপে চলে যাওয়া যায়। নামতে হবে কোন্নগর স্টেশনে। অটো বা টোটো করে একটু গেলেই জিটি রোডের পাশে রয়েছে অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি। সরকারি উদ্যোগে নতুন করে সংস্কার হয়েছে বাড়িটি। সেখানে রয়েছে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগ্রহশালা। গঙ্গার পাড়ে কাটানো যায় কিছুটা সময়। তার পর সেখান থেকে যাওয়া যায় শ্রীরামপুর। সেখানে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথ দর্শন এবং দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন মাহেশ রথ দেখা যেতে পারে।

শ্রীরামপুর একটি সময়ে ছিল ড্যানিশদের শহর।

ফাইল চিত্র।

এখানকার স্থাপত্য সংস্কার হয়েছে কিছু দিন আগে। শ্রীরামপুর মিশনের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উইলিয়াম কেরি মার্সম্যানরা। গঙ্গার পাড়ে শ্রীরামপুর কলেজ, কেরির সমাধি, ড্যানিশ চার্চ দর্শনীয়। পুরনো ড্যানিশ সরাইখানাকে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।

এর পর ওই পথেই একটু উত্তরে গেলে চন্দননগর ফরাসি মিউজিয়াম, স্ট্যান্ড, চার্চ দেখা যাবে। আরও একটু উত্তরে তিন কিলোমিটার গেলে চুঁচুড়ায় ডাচ স্থাপত্য চোখে পড়বে।

ইমামবাড়ার স্থাপত্য দেখতে ঢল নামে এ সময়ে। একটি সময়ে পর্তুগিজরা সপ্তগ্রাম বন্দরে বাণিজ্য করতে আসত। তাদের তৈরি চারশো বছরের প্রাচীন ব্যান্ডেল চার্চ জেলার পর্যটকদের বড় আকর্ষণ। এ ছাড়াও রয়েছে দেবানন্দপুরে শরৎচন্দ্রের বাড়ি সংগ্রহশালা, গ্রন্থাগার।

ব্যান্ডেল থেকে কাটোয়া লাইনে বলাগড় সোমরা বাজারে রয়েছে গঙ্গার চরে জেগে ওঠা সবুজ দীপ। এক দিন বনভোজনের জন্য মানানসই জায়গা। সোমরা স্টেশন থেকে টোটো করে গঙ্গার খারি সেখান থেকে ভুটভুটি নৌকায় সবুজ দীপ। পর্যটন দফতর সম্প্রতি সবুজ দীপকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু করেছে।

কামারপুকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থান। মঠ ও মিশন দেখতে সারা বছরই পর্যটকেরা যান। গোঘাটেই রয়েছে গড় মান্দারন ফরেস্ট। শীতে এক দিন বনভোজন করতে বহু মানুষ যান সেখানে।

অন্য বিষয়গুলি:

Hoogly Weekend Trip Winter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy