ছেলে বা মেয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেই বেড়়াতে যাবেন ঠিক করেছেন। তালিকায় দু’তিনটি পাহাড়ি এলাকা আছে বটে, কিন্তু এখন বিমানের টিকিট সস্তায় পাবেন কি না, বেড়াতে গিয়ে কী ভাবে ঘুরবেন বা কোথায় থাকবেন, তা নিয়েই ভাবনা চলছে?
বছর চল্লিশেক আগেও বেড়ানোর পরিকল্পনা করতে হলে ভ্রমণ সংক্রান্ত বই, অভিজ্ঞ মানুষের শরণাপন্ন হতে হত। ডিজিটাল যুগে সেই কাজ সহজ করে দিয়েছে ইন্টারনেট, সার্চ ইঞ্জিন। তবে বেড়ানোর পরিকল্পনা থেকে প্রতি পদে সাহায্যের জন্য বেছে নিতে পারেন কয়েকটি অ্যাপও।
হপার: ব্যস্ততার যুগে অনেকেই লম্বা ট্রেন সফর এড়িয়ে চলতে চান। কিন্তু ইচ্ছামতো বিমানের টিকিট যেমন চাইলেই মেলে না, তেমনই যাওয়ার কয়েক দিন আগে টিকিট কাটতে গেলে খরচও বেড়ে যায় অনেকখানি। এই অ্যাপটি বিমানের টিকিটের দামের ওঠা-পড়া, কোন সময় কাটলে ভাল, সে ব্যাপারে তথ্য দেবে। টিকিটের দাম কমলে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানানও দেবে। উপযুক্ত তথ্য জেনে প্রয়োজন মতো সাইট থেকে সহজেই টিকিট কিনে নিতে পারবেন।
ট্রিপল্ট: হোটেলের ঘর বুকিং করেছেন, বিমানের টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যে ক’টা দিন সময় আছে, কী ভাবে ঘুরলে ভাল হবে, বুঝতে পারছেন না? এ ব্যাপারে সাহায্য করবে অ্যাপটি। হোটেল বা বিমান বুকিংয়ের তথ্য অ্যাপে তুলে দিলেই তারা নিজে থেকেই ঠিক করে দেবে কখন, কোথায় যাওয়া যায়। কখন হোটেলে চেক ইন সময়, কখন বিমান ধরতে হবে, সমস্ত তথ্যই এতে থাকবে।
আরও পড়ুন:
গুগ্ল ট্রান্সলেট: বিদেশে গেলে তো বটেই, এমনকি ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে গেলেও ভাষা বোঝার অসুবিধা হয় অনেকেরই। সেই কাজটি সহজ করে দিতে গুগ্ল ট্রান্সলেট অ্যাপ। জানা ভাষায় যে কোনও বাক্য লিখে যে ভাষায় তা অনুবাদ করতে চাইলেন উল্লেখ করলে নিমেষেই উত্তর মিলবে। এমনকি অ্যাপের ক্যামেরার সাহায্যে ছবি তুললেও, তাতে লেখা ভাষা অনুবাদ করে দেবে অ্যাপটি।
আইআরসিটিসি রেল: ট্রেনে ভারতের মধ্যে যাতায়াত করতে হলে এই অ্যাপটি অত্যন্ত কাজে আসবে। ট্রেনের টিকিট কাটা, টিকিট বাতিল, এমনকি স্টেশনে যদি কয়েক ঘণ্টা কাটাতে হয়, সে ক্ষেত্রে ওয়েটিং রুম বুক করতেও কাজে আসে অ্যাপটি।
ডিজ়ি লকার: বেড়াতে যাওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথি, পরিচয়পত্র সামলে রাখাও খুব জরুরি। এ ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে ডিজ়ি লকার। আধার থেকে প্যান কার্ড, যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি ডিজিটাল ফরম্যাটে সুরক্ষিত রাখা যায় এতে।
জি পে বা ফোন পে: আর্থিক লেনদেনে প্রযুক্তির গুরুত্ব বেড়েছে। জি পে, ফোন পে বা কোনও ইউপিআই অ্যাপ মোবাইল থাকলে খুব সুবিধা হবে। ইদানীং দেশের যে কোনও রাজ্যের তুলনামূলক ছোট জনপদেও জিনিসপত্র কিনে দাম মেটানোর জন্য এই প্রযুক্তিই অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে।