বুদ্ধগয়ায় গেলে কী কী জায়গা দেখবেন? ছবি: শাটারস্টক।
বৌদ্ধদের পবিত্র ধর্মস্থান তো বটেই, দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণের জায়গাও হল বুদ্ধগয়া। ২৩ মে, বৃহস্পতিবার বুদ্ধপূর্ণিমা। দেশের নানা বৌদ্ধ মঠে এই দিনটি উদ্যাপন করা হয়। তার মধ্যে বিহারের বুদ্ধগয়া একটি। এই মঠের মূল আকর্ষণ হল মহাবোধি মন্দির। যেখানে গৌতম বুদ্ধ সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তাই বৌদ্ধদের কাছে এই মঠের বিশেষ গুরুত্ব আছে। বুদ্ধপূর্ণিমার পবিত্র দিনটিতে শুধু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা নন, দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকেরাও ভিড় জমান এখানে।
ইতিহাসের পাতায় এর নাম উরুভেলা। আঠারো শতকে ‘বোধগয়া’ নামে পরিচিতি পায় এই স্থান। মহাভারতে উল্লেখিত নিরঞ্জন নদীর পাড়ের এই ধর্মস্থানে প্রথম বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণ করেন সম্রাট অশোক। ‘বোধিমণ্ড বিহার’ নামের সেই দেবালয় এখনকার অতি পরিচিত ‘মহাবোধি’ বৌদ্ধমন্দির। উনিশ শতকে স্যর আলেকজান্ডার কানিংহ্যামের নেতৃত্বে মন্দির পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু হয়। ৫৫ মিটার উচ্চতার মন্দির চূড়া দেখা যায় প্রায় ১১ কিলোমিটার দূর থেকে।
বুদ্ধপূর্ণিমায় যদি বুদ্ধগয়ায় ঘুরতে যান, তা হলে মহাবোধি মন্দির ছাড়াও আরও নানা জায়গা আছে দেখার। জেনে নিন কোন কোন জায়গা দেখবেন।
মহাবোধি মন্দির
সপ্তম শতাব্দীতে গুপ্তযুগে শেষ হয় পিপুল গাছের পূর্ব দিকে মহাবোধি মন্দির তৈরির কাজ। মন্দিরের ভিতরে সোনার জল করা কষ্টিপাথরের ভূমিস্পর্শ মুদ্রায় বুদ্ধের বসে থাকার মূর্তি তৈরি করেন পাল রাজারা। দিনের পড়ন্ত আলোয় মহাবোধি মন্দির চত্বরে বসে থাকলে, সত্যিই মন জু়ড়িয়ে যায়। এখন তো ওই মন্দির চত্বর জুড়ে তৈরি হয়েছে ৮০ ফুটের বুদ্ধমূর্তি থেকে শুরু করে অজস্র বৌদ্ধবিহার।
প্রার্থনাকক্ষ
ফল্গু নদীর পাড়ে একটি বট গাছের নীচে ‘তিন দিন তিন রাত’ ধ্যানমগ্ন ছিলেন তিনি। বোধিসত্ত্ব লাভ করার পর বুদ্ধদেব সাত সপ্তাহ ধরে সাতটি ভিন্ন স্থানে আবারও ধ্যান করেন। শোনা যায়, নির্বাণলাভের পর দ্বিতীয় সপ্তাহটি কাটিয়েছিলেন এই প্রার্থনাকক্ষে। এই স্থান ‘অনিমেষলোচন চৈত্য’ নামে পরিচিত।
রত্নগড় চৈত্য
নির্বাণলাভের পর চতুর্থ সপ্তাহটি এই স্থানে কাটিয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ। মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার থেকে উত্তর-পূর্বেই রয়েছে এই করত্নগড় চৈত্য।
চনক্রমনা
এই স্থানে নির্বাণলাভের তৃতীয় সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ। কথিত আছে, ১৮ পা এগিয়ে ও ১৮ পা পিছিয়ে এই স্থানে এক সপ্তাহ সময় কাটিয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ।
পদ্মপুকুর
ষষ্ঠ সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন পদ্মপুকুর চত্বরে। মূল মন্দিরের দক্ষিণে রয়েছে এই পবিত্র স্থান।
রাজ্যতন গাছ
গৌতম বুদ্ধের ধ্যানপর্বের শেষ সপ্তাহ কেটেছিল এখানে। এই স্থানের ধর্মীয় মাহাত্ম্য বোঝাতে এখানে একটি বৃক্ষরোপণ করা হয়। মন্দিরের দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে এই স্থান।
আজপাল গাছ
গৌতম বুদ্ধের নির্বাণলাভের পঞ্চম সপ্তাহ কেটেছিল এই প্রাচীন গাছের নীচে। একটি সাদা পাথরের থালায় বার্মিজ শিলালিপিতে এই স্থানের মাহাত্ম্য বর্ণনা করা আছে।
রাজায়তন
গৌতম বুদ্ধ তাঁর সপ্তম ও শেষ সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন এই স্থানে। এখান থেকেই তিনি সারনাথের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
বুদ্ধের সাধনাস্থল ছাড়াও রয়েছে আরও দর্শনীয় স্থান। তাই মনাস্ট্রি, মুচলিন্দ লেক, রয়্যাল ভুটান মনেস্টারি, চিনা মন্দির, ভিয়েতনামিজ মন্দির, বার্মিজ বিহার মেস্টারি, সুজাতা মন্দির, সুজাতা কুটির, ইন্দোনেশিয়ান মন্দির, জাপানিজ মন্দির, দলাই লামা প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত ও ভারতের উচ্চতম বুদ্ধ মূর্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy