E-Paper

সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা, গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের এক এএসআই-সহ চার জন

বাকিদের মধ্যে আছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং তৃণমূলের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান তথা বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যও।

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার দাবি পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে।

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার দাবি পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৩ ০৭:৩২
Share
Save

ফের অপরাধের সঙ্গে নাম জড়িয়ে গেল এক পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারের। সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে এ বার গ্রেফতার করা হল কলকাতা পুলিশের এক এএসআই ও তাঁর স্ত্রী-সহ চার জনকে।

বাকিদের মধ্যে আছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং তৃণমূলের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান তথা বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যও। লালবাজার জানিয়েছে, ওই চার জনকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। ধৃতদের আজ, রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে। এই ঘটনায় লালবাজারের এক শীর্ষ কর্তার অফিসের কেউ জড়িত আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত এপ্রিল মাসে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

গত মাসেই ডাকাতির অভিযোগে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র রক্ষী-সহ দুই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছিল লালবাজার। তার কিছু দিন পরেই ব্যারাকপুর কমিশনারেট প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের এসিপি পদমর্যাদার এক অফিসারকে। লালবাজার জানিয়েছে, এ দিন গ্রেফতার হওয়া এএসআইয়ের নাম সঞ্জীব দেঁড়ে। তিনি বেনিয়াপুকুর থানায় কর্মরত ছিলেন। তারও আগে ছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে।

এ দিন লালবাজারের প্রতারণা দমন শাখার অফিসারেরা তাঁর স্ত্রী বর্ণালী দেঁড়েকেও গ্রেফতার করেছে। এ দিন বিকেলে হাওড়ার উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের খলিসানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান ও বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য বর্ণালী ও তাঁর স্বামী সঞ্জীবকে গোয়েন্দারা হাওড়ার বাউড়িয়ার বুড়িখালির একটি বহুতল থেকে গ্রেফতার করেন। এর পাশাপাশি, গ্রেফতার হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম সৈকত দে ওরফে টিটু। তিনি গোয়েন্দা বিভাগের রিসেপশনে কর্মরত ছিলেন। ধৃত অপর জনের নাম কার্তিক মান্না। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মাসখানেক আগে বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা আখতার বানু লালবাজারের কর্তাদের কাছে অভিযোগে জানান, তাঁর ছেলেকে মন্ত্রীর কোটায় স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছেন অভিযুক্তেরা। এক পুলিশকর্তা জানান, সেই অভিযোগ মেলার পরেই সঞ্জীবের বিরুদ্ধে গোপনে তদন্ত শুরু হয়। তাতেই জানা যায়, ওই ঘটনায় জড়িত রয়েছেন গোয়েন্দা বিভাগের সিভিক ভলান্টিয়ার টিটুও। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সঞ্জীবের স্ত্রী বর্ণালীও এই চক্রের সদস্য।

তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তেরা স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন বিভিন্ন জনের কাছ থেকে। এমনকি, তাঁরা প্রতারিতদের স্বাস্থ্য দফতরের ভুয়ো কিছু নথিও দিয়েছিলেন। এমন কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশের সন্দেহ, ওই অভিযুক্তদের সঙ্গে আরও দু’-এক জন পুলিশকর্মীর যোগসাজশ

থাকতে পারে। গত কয়েক মাসে কলকাতা পুলিশ ডাকাতি ও প্রতারণার অভিযোগে ১০ জন

পুলিশকর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে আছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি-র এক রক্ষীও।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Corruption Uluberia

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।