সম্মাননীয়: নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে থু ইয়ুইয়ু। ছবি: গেটি ইমেজেস
চিনের ‘গ্লোবাল পিপল’ ম্যাগাজ়িনের সাংবাদিক অবাক হয়ে দেখছেন, ড্রয়ার আর আলমারিতে থরে থরে সাজানো ফাইল। কোনওটা তিরিশ বছরেরও আগের! প্রবীণ বিজ্ঞানী ফাইলগুলো দেখাতে গিয়ে বলছেন, ‘‘ভাবছেন কাউকে দেখানোর জন্য এমন সাজিয়ে-গুছিয়ে রেখেছি? তা নয়। এটাই বিজ্ঞান গবেষকের অভ্যেস হওয়া উচিত। কাজ করতে গিয়ে যে তথ্য মেলে, তা যত্ন করে সাজিয়ে রাখা।’’ শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে সাংবাদিকের। পরের দিন পত্রিকার পাতায় বিস্মৃতির অন্তরাল থেকে মুক্তি পেলেন এই বিজ্ঞানী, থুু ইয়ুইয়ু। সেটা ২০০৭ সাল।
সেই বছরই সাংহাইতে বসেছিল সংক্রামক রোগ সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারের আসর। যোগ দিতে এসেছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজ়িজ়েস, মেরিল্যান্ড-এর দুই গবেষক— লুই মিলার ও শিনচুয়ান সু। মিলারের বক্তৃতার বিষয় ছিল ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ। তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই একটি প্রশ্নের উত্তর জানতে আগ্রহী। সত্তরের দশকে আবিষ্কৃত, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের মির্যাকলসদৃশ বড়ি আর্টিমিসিনিনের প্রকৃত আবিষ্কর্তা কে? এর আগে এই ওষুধ সংক্রান্ত গবেষণা প্রকাশিত হয়েছিল এক চিনা জার্নালে, ইংরেজিতে। ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত সেই গবেষণাপত্রে ছিল না গবেষকের নাম। এর পর ১৯৮২ সালে ‘ল্যানসেট’ জার্নালে প্রকাশিত হয় একটি রিপোর্ট। সেখানে ছিল বেশ ক’জন বিজ্ঞানীর অবদানের উল্লেখ, শুধু বাদ একটি নাম। আগের বছরেই, ১৯৮১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল চিন-এ গিয়েছিল ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ সংক্রান্ত গবেষণার হাল-হকিকত দেখতে। সেই রিপোর্টে কিন্তু ছিল বাদ যাওয়া সেই গবেষকের নাম। থু ইয়ুইয়ু। এই রহস্যের জট ছাড়াতেই সাংহাইয়ের আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রসঙ্গটা তোলেন মিলার ও সু। ‘এক্সক্লুসিভ’ খবরের গন্ধ পেয়ে এর পরেই ‘গ্লোবাল পিপল’ ম্যাগাজ়িনের সাংবাদিক কড়া নেড়েছিলেন পূর্ব বেজিংয়ের এক ছোট্ট বাড়ির দরজায়। তার পরেই পশ্চিমি দুনিয়া জানতে পারে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধকারী আর্টেমিসিনিনের আবিষ্কারের আসল গল্প। দেশে ফিরে থু ইয়ুইয়ু-র ব্যাপারে আরও তথ্য সংগ্রহ করেন মিলার। চার বছর পর জীববিজ্ঞানের বিখ্যাত জার্নাল ‘সেল’-এ একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন তিনি। বাকিটা ইতিহাস। ‘ল্যাস্কার অ্যাওয়ার্ড’-এর প্রাপক হিসেবে থু-র নাম ঘোষণা করা হয়। সাধারণত জীববিজ্ঞানে মৌলিক অবদানের জন্য যাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়, তাঁদের অনেকেই পরবর্তী কালে শারীরবিদ্যা বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পান। ২০১৫ সালেও তেমনই ঘটেছিল। প্রথম চিনা মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে নোবেল পান থু ইয়ুইয়ু। প্রায় অর্ধ শতকের বঞ্চনার শাপমুক্তি ঘটে।
সিনেমার চেয়ে কিছু কম রোমাঞ্চকর নয় থু-র জীবন। বিজ্ঞান মহলে তাঁর সম্পর্কে একটা কথা প্রচলিত, তিনি হলেন ‘দ্য প্রফেসর অব থ্রি নো-জ়’। থু-র কেরিয়ারে তিনটে জিনিস নেই— পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি, চাইনিজ় অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স-এর সদস্যপদ, আর ইউরোপ-আমেরিকার কোনও বিখ্যাত গবেষণাগারে গবেষণার অভিজ্ঞতা। ১৯৩০ সালে চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের বন্দর শহর নিংবো-তে থু-র জন্ম। বাবা-মা’র পাঁচ সন্তানের মধ্যে একমাত্র কন্যা। নোবেল পাওয়ার পরে এক ব্লগ পোস্টে থু জানিয়েছিলেন, ‘বাড়ির একমাত্র মেয়ে হয়ে যে কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম, এতেই আমি নিজেকে যথেষ্ট ভাগ্যবান মনে করি। তখন এমনটা সচরাচর ঘটত না।’ স্কুলের পড়া শেষে বেজিংয়ের ‘অ্যাকাডেমি অব ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ় মেডিসিন’-এ ফার্মাকোলজি পড়েন থু। হাতে-কলমে কাজ শেখেন সেখানে। এর পরের কর্মজীবন নেহাতই মামুলি। ১৯৫৫ সালে ফার্মাকোলজিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। বিয়ে হয় স্কুলজীবনের বন্ধু লি থিংচাও-এর সঙ্গে। স্বামীর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি থাকলেও তাঁর পক্ষে সে সময় এক কারখানায় কাজ করা ছাড়া উপায় ছিল না। বেজিংয়েই পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেন থু।
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও চিনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব থু-র জীবন আমূল বদলে দেয়। ভিয়েতনাম যুদ্ধে উত্তর ভিয়েতনামে মার্কিন নাপাম বোমায় মারা যাওয়ার বদলে ভিয়েতকং যোদ্ধারা বেশি মারা যাচ্ছিলেন ম্যালেরিয়ায়। চিনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করায় গোপনে এক প্রকল্প শুরু করেন মাও জে দং। ‘প্রোজেক্ট ৫২৩’। ১৯৬৭ সালের ২৩ মে এই প্রকল্প সরকারি ভাবে শুরু হয়। শুরুর দিনের তারিখ অনুযায়ীই নামকরণ। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব ভিয়েতনাম-এর (উত্তর ভিয়েতনাম) প্রধানমন্ত্রী হো চি মিন-এর অনুরোধে গোটা দেশ জুড়ে ৬০টি অস্থায়ী ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত গবেষণাগার স্থাপন করেন মাও, সেখানে যোগ দেন পাঁচশোরও বেশি গবেষক ও চিকিৎসাকর্মী। কিন্তু সাংস্কৃতিক বিপ্লবের জেরে
তখন বহু বিজ্ঞানীই জেলে বন্দি। তাই সরকারের চোখে তেমন ‘এলিট’ নন, এমন স্নাতক স্বাস্থ্যকর্মীদেরও শামিল করা হয় প্রকল্পে। থু ছিলেন তাঁদেরই এক জন।
চিনের ‘আয়রন কার্টেন’-এ বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিস্মৃতির আড়ালে হারিয়ে যাওয়া নয়, বরং প্রকল্পে যোগ দেওয়ার মুহূর্তটাই ছিল তাঁর জীবনে সবচেয়ে কষ্টের, সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং, ২০০৯ সালে প্রকাশিত আত্মজীবনীতে এ কথা স্বীকার করেছেন থু। তখন তাঁর বয়স ৩৯। স্বামী লি জেলে বন্দি। চার বছরের ছোট মেয়ের দেখাশোনার দায়িত্ব থু একাই সামলান। ১৯৬৯-এর ২১ জানুয়ারি চিঠি আসে খোদ মাও-এর দফতর থেকে। চিনের দক্ষিণতম প্রান্ত হাইনান দ্বীপে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ সংক্রান্ত গবেষণায় যোগ দিতে হবে। মেয়েকে একটি নার্সারিতে রেখে থু যোগ দিয়েছিলেন গবেষণায়।
টানা তিন বছরের গবেষণার ফসল, ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সাফল্য আসে। ‘প্রোজেক্ট ৫২৩’ ছিল একটি মিলিটারি প্রোজেক্ট। অত্যন্ত গোপনীয়। তাই পশ্চিমি দুনিয়ার কাছে এই প্রকল্পের খুঁটিনাটি অজানাই থেকে যায়। শুধু ১৯৭০-৮০’র দশকে প্রকাশিত কয়েকটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ‘আর্টেমিসিয়া আনুয়া’ গাছের পাতা ফুটিয়ে তৈরি করা হয়েছে আর্টিমিসিনিন। গুয়াংঝাও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী লি কুয়োছিয়াও-এর নেতৃত্বে সফল হয়েছিল সেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। আর্টিমিসিনিনের বিশুদ্ধ কেলাস তৈরি করেছিলেন ‘হুনান ইন্সটিটিউট অব ফার্মাকোলজি’-র এক গবেষক। মোদ্দা কথা হল, এত বড় প্রকল্পের কৃতিত্বের দাবিদার একা কেউ নন। থু-র অবদান এই প্রকল্পে কতটা বা কোন জায়গায়, সেই তথ্য অজানাই থেকে যায়।
আমেরিকায় গবেষণায় করতে গিয়ে শিনচুয়ান সু-র আলাপ হয় লুই মিলারের সঙ্গে। দু’জনে এক সঙ্গে গবেষণার পাশাপাশি আর একটি বিষয়ে সমান উৎসাহী ছিলেন— আর্টিমিসিনিন তৈরির আসল ইতিহাস খুঁজে বার করা। এই দুই বিজ্ঞানীর ব্যক্তিগত উৎসাহ ছাড়া পশ্চিমি বিজ্ঞানী মহল আলাদা করে থু-র নাম কোনও দিনই জানতে পারত বলে
মনে হয় না।
যৌথ ভাবে প্রকাশিত একাধিক প্রবন্ধে আর্টিমিসিনিন তৈরিতে থু ইয়ুইয়ু-র অবদান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সু এবং মিলার। ‘প্রোজেক্ট ৫২৩’ প্রকল্পে গবেষকদের যে দলগুলি প্রাচীন চিনা চিকিৎসা পদ্ধতিতে ম্যালেরিয়া রোখার উপায় খুঁজছিলেন, তাঁরা কাজ করছিলেন প্রায় ২০০০ বছর পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে। উত্তর ভিয়েতনামে ম্যালেরিয়া-আক্রান্তদের শরীরে তত দিনে প্লাসমোডিয়ামের জীবাণু ক্লোরোকুইন-রেজ়িস্ট্যান্ট হতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় চিনের প্রাচীন ‘চিন’ শাসনকালে ব্যবহৃত ক-হং’এর লেখা পুঁথি থেকে ম্যালেরিয়া সারানোর ক্ষেত্রে আর্টেমিসিয়া আনুয়া গাছের ভূমিকা খুঁজে বার করেন থু। এই গাছের পাতা থেকে আর্টিমিসিনিন তৈরি হলেও, ইঁদুরের দেহে সংক্রমণকারী ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্লাসমোডিয়াম বারঘেই-এর বিরুদ্ধে এর সাফল্য ছিল ৬৮ শতাংশ। থু চাইছিলেন ১০০ শতাংশ সাফল্য। তিনি বুঝতে পারেন, আর্টিমিসিনিন তৈরি করতে প্রাচীন পদ্ধতিই অবলম্বন করতে হবে। শতাব্দীপ্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিকে গবেষণাগারে ব্যবহারযোগ্য প্রোটোকলে পরিণত করে নতুন ভাবে আর্টিমিসিনিন তৈরি করেন থু। ইঁদুরের দেহে সাফল্যের পর আসে মানুষের শরীরে পরীক্ষার পালা। এ বার প্রথমে নিজেকেই গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করলেন তিনি।
১৯৭২ সালের অগস্টে মানবশরীরে পরীক্ষায় সাফল্য আসে। সে বছরই নভেম্বর মাসে ‘Qinghaosu’ নামের একটি কেলাসাকার অ্যাক্টিভ কম্পাউন্ড তৈরি করেন থু ও তাঁর দল। এর পর আর্টিমিসিনিনকে যাতে সহজে গুলে ব্যবহার করা যায়, তাই ডাইহাইড্রোআর্টিমিসিনিন তৈরি করেন এই মহিলা বিজ্ঞানী। ‘প্রোজেক্ট ৫২৩’ প্রকল্পে একাধিক বিজ্ঞানী যুক্ত থাকলেও প্রাচীন পুঁথি ঘেঁটে
ওষুধ তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার, তাতে প্রয়োজন মতো পরিবর্তন, সেই ওষুধকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা এবং হিউম্যান ট্রায়ালে সাফল্য— এই পুরোটাই থু ইয়ুইয়ু করেছিলেন একা হাতে, অনেকটা জেদের বশেই। চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় থু-র সঙ্গে কাজ করেছেন ফুমিং লাও। তাঁর স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায় থু-র প্রচণ্ড জেদের কথা। এমনিতে তিনি খুবই শান্ত, কিন্তু যে কোনও একটা বিষয় বা পরীক্ষার শেষ দেখে ছাড়াটাই ওঁর স্বভাব। ‘প্রোজেক্ট ৫২৩’-এর প্রথম দিকে যখন একাধিক পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে, থু এক রকম জেদ করেই ক-হংয়ের লেখা পুঁথির নির্দেশিকায় সমস্ত মনোযোগ আর একাগ্রতা ঢেলে দিয়েছিলেন।
মধ্যযুগে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছিল বাগদাদ ও বসরা শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মেডিক্যাল মুভমেন্ট। তার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন মধ্যযুগের সবচেয়ে চর্চিত চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী আবু সেনা (ইবনে সিনা)। তিনি ও তাঁর অনুরাগী চিকিৎসকরা মনে করতেন, সর্বশক্তিমান যদি প্রকৃতিতে কোনও রোগ পাঠান, প্রকৃতির মধ্যেই তার সমাধানও পাঠান তিনি। এই জ্ঞান তাঁরা পেয়েছিলেন ভারত ও চিন হয়ে সিল্ক রুট ধরে
চলা জ্ঞানের আদানপ্রদানের মাধ্যমে। প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতে লেখা পুঁথি, প্রাচীন চিনের একাধিক চিকিৎসাশাস্ত্রের পুঁথি সেই জ্ঞানেরই সাক্ষ্য বহন করে।
আধুনিক ইউরোপীয় বিজ্ঞানের জয়যাত্রা শুরু হয় সপ্তদশ শতকে। বিজ্ঞানের ইতিহাসের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘সায়েন্টিফিক রেভলিউশন’। ধীরে ধীরে প্রকৃতিকে নিজের সুবিধার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে শেখে মানুষ। কিন্তু প্রকৃতির মধ্যেই যে আছে বহু সমস্যার সমাধান, সেই প্রাচীন জ্ঞানচর্চা ধীরে ধীরে চলে যায় পিছনের সারিতে। বর্তমানে ভারতের মতো দেশে এই সমস্যা আরও জটিল করে তুলেছে প্রাচীন জ্ঞানচর্চাকে রাজনৈতিক প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার। স্পষ্টত বিজ্ঞান মহল ভাগ হয়ে গিয়েছে দুই ভাগে। পশ্চিমি বিজ্ঞানের শিক্ষাপ্রণালীতে শিক্ষিত তরুণ গবেষক দল প্রাচীন বৈজ্ঞানিক রীতিপদ্ধতির কার্যকারিতা মানতে নারাজ। অপর দল আবার প্রাচীন পদ্ধতিকেই অন্ধবিশ্বাসে আঁকড়ে ধরায় ব্রতী। এই দুই দলে ভাগ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় মধ্যস্থতা করতে পারে থু ইয়ুইয়ু-র জীবন ও কাজ। যিনি আস্থা রেখেছিলেন নিজের দেশের এক প্রাচীন জ্ঞানচর্চাকারীর লিপিবদ্ধ প্রণালীতে, প্রাচীন বিজ্ঞানীর প্রকৃতিকে দেখার দৃষ্টিতে। তবে থু অন্ধের মতো সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেননি। নিজের প্রজ্ঞা ব্যবহার করে তাকে আধুনিক কালের ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছিলেন। প্রাচীন ও আধুনিক জ্ঞানচর্চার মিশ্রণই প্রাণ বাঁচিয়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষের। আজ গোটা বিশ্ব করোনা-কবলিত, এ বিপদ এক
দিন কেটে যাবে নিশ্চয়ই। তবে ভবিষ্যতের বিপদ রুখতে এখন থেকেই প্রকৃতির মধ্যে সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা শুরু করা যেতে পারে। যেমন করেছিলেন থু ইয়ুইয়ু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy