কণিষ্ক পণ্ডা (মাঝে হলুদ পাঞ্জাবিতে)।—নিজস্ব চিত্র।
দলবিরোধী কাজের অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত তিনি। রবিবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর থেকে একাধিক বিষয়ে দলবিরোধী মন্তব্য করছিলেন কণিষ্ক। এমনকি দলনেত্রীর বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন তিনি। তার জেরেই তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানার পর কণিষ্কর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, ‘‘কুছ পরোয়া নেই। এই দলটাই কিছু দিন পর পোস্টারে পরিণত হবে।’’
শনিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সমালোচনা করেছিলেন কণিষ্ক। বলেছিলেন, ‘‘দিদির স্বাস্থ্যসাথী ঢপ। যখন হাসপাতালে নিয়ে যাবেন তাড়িয়ে দেবে। দিদির কাছে কোনও টাকা নেই। দিদির যা ঋণ আছে ঢেকে দিলেও ঋণ শোধ হবে না। বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন শুভেন্দুকেই দরকার।’’
প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকার সম্পর্কে এমন মন্তব্য করায়, কণিষ্ককে বহিষ্কার যে ছিল নিতান্ত সময়ের অপেক্ষা, তা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল। রবিবার তাঁকে বহিষ্কারের ঘটনায় তাই ‘অবাক’ নন দলীয় নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের আইপিএস তলব নিয়ে দিলীপ-কল্যাণ তরজা
নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর থেকে তাঁকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠকের পরও জটিলতা কাটেনি। বরং তা বাড়ে। এর পর থেকে শুভেন্দুর সঙ্গে দলের ব্যবধান যে ক্রমেই দুর্লঙ্ঘ্য হয়ে পড়েছে, তা মেনে নেন তৃণমূলের অনেক শীর্ষ নেতা। যদিও শুভেন্দু নিজে কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর জেলার নেতার এই সিদ্ধান্তের পর থেকে কণিষ্ক একাধিক বিষয় নিয়ে দলের সমালোচনায় মুখর হন। শুভেন্দুর নিরাপত্তা নিয়েও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। রবিবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে কণিষ্ক বলেন, ‘‘দিদিকে যত দিন না আমরা মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার থেকে সরাতে পারছি, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’’
ঘটনাচক্রে এই জেলার তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী। কণিষ্কের বহিষ্কার নিয়ে তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন: মথুরাপুরের ৫ বারের সাংসদ রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক প্রয়াত, শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy