আক্রম। এ বার সবুজ-মেরুন জার্সিতে।
নাইজিরিয়ান র্যান্টি মার্টিন্সের পাল্টা লেবানিজ গোলমেশিন।
লেবাননের তারকা স্ট্রাইকার ভারতে এক বছর আগে খেলে যাওয়া আক্রম মোঘ্রাবিকে নিতে চলেছে মোহনবাগান। সব কিছু ঠিকঠাক চললে সবুজ-মেরুন জার্সি পরার জন্য সামনের সপ্তাহেই সইসাবুদ সেরে ফেলবেন এই মুহূর্তে লেবানন প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
সেই আক্রম, যে স্ট্রাইকার এক বছর আগে চার্চিল ব্রাদার্সের হয়ে ১১ ম্যাচে ১০ গোল করে চমকে দিয়েছিলেন। লেবানিজ জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় আই লিগের মাঝপথেই ফিরে যেতে হয়েছিল তাঁকে। আক্রমের সঙ্গেই এসেছিলেন তাঁর স্বদেশীয় ডিফেন্ডার বিলাল। দু’জনে দেশে ফিরে যাওয়ার আগে চার্চিলের আই লিগ জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান।
বাগানের নতুন টিডি সুভাষ ভৌমিক-ই লেবাননের দুই ফুটবলারকে নিয়ে এসেছিলেন চার্চিলে। সেই সখ্যর জোরেই আক্রমকে কলকাতায় আনতে চলেছে বাগান। আক্রাম এখন খেলেন লেবাননের এক নম্বর ক্লাব নাজমায়। বেইরুটের এই ক্লাব সে দেশের প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে আছে এখন। বাগান সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আক্রামের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে সবুজ-মেরুন। তাতে নাকি ফুটবলারটি ভারতে আসতে রাজি।
কাতসুমিকে চাইলেও ইচেকে রাখতে চাইছেন না সুভাষ। কিন্তু ইচের সঙ্গে দু’বছরের চুক্তি আছে ক্লাবের। কর্তারা চেষ্টা করছেন ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’ করে বিদায় জানাতে। যেমন করা হল শুক্রবার করিম বেঞ্চারিফাকে। করিমকে ছেঁটে ফেলার পর এ দিন দুপুরে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু এবং অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। পাওনাগণ্ডা নিয়ে আলোচনার পর খুশি করিম শনিবারই ছেড়ে দিচ্ছেন, বাইপাসের ধারে বাগানের দেওয়া বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। উঠে যাচ্ছেন শহরের এক হোটেলে। সেখান থেকেই জাপানে প্রো-লাইসেন্স কোর্স করতে চলে যাবেন বাগানের সদ্য প্রাক্তন কোচ। বাগান থেকে ছাঁটাই আর এক জনঅধিনায়ক ওডাফা ওকোলি এ দিনই আবার গোয়ায় আলোচনায় বসেছিলেন চার্চিল আলেমাওয়ের সঙ্গে। দু’কোটি টাকার ওডাফাকে আশি লাখের প্রস্তাব দিয়েছে তাঁর পুরানো ক্লাব চার্চিল। কোনও ক্লাব না জোটায় সেই প্রস্তাবেই রাজি হয়ে গিয়েছেন ওডাফা। তবে তাঁর চোট পরীক্ষা করবে চার্চিল।
বাগান টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার সময় যাঁদের নাম তালিকায় উঠেছিল তাঁদের মধ্যে জনাচারেক ফুটবলার ছিলেন চার্চিলের। স্টপার সঞ্জয় বালমুচু, সতীশ সিংহ, রাজু ইয়াঙ্গম ও বলবন্ত সিংহ। সঞ্জয়ের কলকাতায় আসা প্রায় পাকা হলেও বাকিদের সঙ্গে দু’বছরের চুক্তি রয়েছে চার্চিলের। কিন্তু ফিফার একটি আইনের ফাঁক দিয়ে সদ্য সমাপ্ত আই লিগের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ও গোলদাতা বলবন্ত সিংহকে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বাগান। সম্প্রতি কলকাতায় এফপিএ-র অনুষ্ঠানে সেরা ভারতীয় ফুটবলারের পুরস্কার নিতে এসেছিলেন পঞ্জাবের এই ফুটবলার। সুভাষের সঙ্গে তাঁর প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়েছে বলে খবর। চার্চিল ফুটবলারদের পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও অনেক কম টাকায় নির্মল ছেত্রী, রহিম নবি, মণীশ মৈথানিদের পেয়ে যেতে চলেছে বাগান। ক্লাবের তালিকায় এঁদের সবার নাম আছে। মহমেডান আই লিগ টু-তে নেমে যাওয়ায় এঁদের কাউকেই রাখছে না। যেমন রাখা হচ্ছে না পেন ওরজি, জোসিমার, লুসিয়ানো সাব্রোসাদের।
এরই মধ্যে সময়ে বিমান ধরতে না পারায় শিলচরে মোহনবাগানের প্রদর্শনী ম্যাচ দেখতে যেতে পারলেন না সদ্য নিযুক্ত টিডি সুভাষ। ওই ম্যাচে বাগান ৪-০ হারায় শিলং লাজং-কে। গোল করেন ক্রিস্টোফার, উজ্জ্বল হাওলাদার, মণীশ ভার্গব (পেনাল্টি), রাম মালিক। সুভাষ বললেন, “যখন এয়ারপোর্টে গিয়ে পৌঁছেছি, তখন বিমান না ছাড়লেও কাউন্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সময়ের ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার জন্যই সমস্যা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy