ড্রেসিংরুমে দুই কোচের সঙ্গে মনোজ তিওয়ারি। -নিজস্ব চিত্র
এমন জন্মদিন কখনও আসেনি মনোজ তিওয়ারির জীবনে। একই দিনে তিন-তিনবার কেক কাটার অভিজ্ঞতাও হয়নি কখনও।
জন্মদিনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তটি মনোজ তিওয়ারিকে দিলেন স্ত্রী সুস্মিতা। মাঝরাতে হঠাৎ টিম হোটেলে হাজির তিনি, স্বামীর জন্য বার্থডে কেক নিয়ে। আগের রাতে সেই কেক কেটেই জন্মদিনের সেলিব্রেশন শুরু বাংলার অধিনায়কের। পরের দিন সকালে প্র্যাকটিসে যাওয়ার আগে হোটেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া কেক কাটতে হল তাঁকে। বিকেলে সতীর্থদের সঙ্গে ফের আর এক দফা কেক কাটা ও মাখামাখি।
মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচ খেলতে নামার আগে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ক্যাপ্টেন। তাঁর দলও। ‘‘এমনই মেজাজে থাকতে চাই সারা ম্যাচে’’, বলে দিলেন বাংলা ক্যাপ্টেন। দলের এক সদস্য বললেন, ‘‘আগামী চার দিন ক্যাপ্টেনকে এই মেজাজে রাখাই আমাদের লক্ষ্য।’’
হবেন নাই বা কেন? গত সপ্তাহে প্রজ্ঞান ওঝার দাপটে বাংলা যখন ঘরের মাঠে বিদর্ভকে নাস্তানাবুদ করে হারানোর পথে, তখন কোটলায় দিল্লির পেসারদের ঝড়ে কাবু মহারাষ্ট্র আশি রানে অল আউট। দিল্লির কাছে ন’উইকেটে হেরে আসা সেই মহারাষ্ট্র এ বার বাংলার সামনে। বাংলা যেখানে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে নক-আউটে যাওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছে, সেখানে পরপর দু’ম্যাচে সরাসরি হারের পর ন’পয়েন্ট নিয়ে লড়ছেন মরাঠিরা।
মাথা তুলে দাঁড়াতে রবিবার থেকে এমসিএ স্টেডিয়ামে তাই কেদার যাদবরা স্পোর্টিং উইকেটে ফেলছে মনোজদের। শনিবার প্র্যাকটিস করতে গিয়ে উইকেট দেখে আসা মনোজই জানালেন সে কথা। সন্ধ্যায় ফোনে বললেন, ‘‘এটা স্পোর্টিং উইকেট। সামান্য ঘাস আছে। শুরুতে পেসাররা সাহায্য পাবে হয়তো। পরের দিকে স্পিনাররা।’’
এমন উইকেটের কথা ভেবে বোলিং বিভাগে প্রজ্ঞানের সঙ্গে আমির গনিকে রাখার ভাবনা রয়েছে বাংলা শিবিরে। সেক্ষেত্রে হয়তো তিন পেসারেই নামবে বাংলা। অশোক দিন্দা, বীরপ্রতাপ সিংহর সঙ্গে যে ফিট হয়ে ওঠা মুকেশকে যে খেলাতে চান, তা মনোজ নিজেই জানালেন। বললেন, ‘‘লাহলিতে মুকেশ যা বোলিং করেছিল, তার পর ওকে ফিট অবস্থায় পেয়েও না খেলানো ঠিক হবে না বোধহয়।’’ মুকেশ এগারোয় এলে হয়তো বাদ পড়বেন সায়ন ঘোষ। আর গনির জন্য সায়নশেখর মন্ডল ও প্রমোদ চান্ডিলার মধ্যে একজনকে বসতে হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ান কোচ ডেভিড অ্যান্ড্রুজের তত্ত্বাবধানে থাকা মহারাষ্ট্র চলতি মরসুমে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে। প্রথম ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগই পায়নি কোনও দল। হরিয়ানার ৩৩৫-এর জবাবে মরাঠিরা ৫৭০ তুলেছিল। ওখানেই ম্যাচ শেষ।
সম্ভবত সেই পাটা বাইশ গজে এই লড়াইটা হচ্ছে না। পুণেতে খবর নিয়ে জানা গেল এবারেরটায় প্রাণ আছে। তাই বোলারদের জন্য কিছু হলেও হয়তো থাকবে। এই অবস্থায় লড়াইয়ে থাকতে গেলে মহারাষ্ট্রের যে সরাসরি জয় দরকার। সে জন্য দুই ধারালো পেসার সামাদ ফালাহ ও শ্রীকান্ত মুন্ধের দিকে তাকিয়ে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy