একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটের অনুষ্ঠানে ভারতের দুই কিংবদন্তি সচিন-দ্রাবিড়। সঙ্গে মার্টিন ক্রো। ছবি: পিটিআই।
ক্রিকেট থেকে তাঁর অবসর নেওয়ার পর চার মাসও কাটেনি। চুটিয়ে উপভোগ করছেন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো। ছেলে অর্জুনের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা আর ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা। শুক্রবার রাতে এমনই একটি অনুষ্ঠানে টেস্ট ক্রিকেট থেকে টি-টোয়েন্টি সব কিছু নিয়েই মতামত জানালেন তিনিসচিন তেন্ডুলকর।
একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটের বিচারে ‘প্রজন্মের সেরা ক্রিকেটার’ নির্বাচিত হওয়ার পর অবসরপ্রাপ্ত কিংবদন্তি বলেন, “টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে গেলে আইসিসি-কে আরও ম্যাচ আয়োজন করার ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে। যদিও আমি মনে করি টেস্ট ক্রিকেট এখন ভাল হাতেই রয়েছে। প্লেয়াররা অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলছে।” পাশাপাশি সচিন আরও বলেন, “গোটা বিশ্বে দেখুন, বেশির ভাগ টেস্টেই কিন্তু রেজাল্ট আসছে। খুব কম টেস্টই ড্র হচ্ছে এখন। আর এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্যই। এটা অনেকটা একে অপরের প্রশংসা করার মতো ব্যাপার আর কী!”
সচিন আরও মনে করেন, বর্তমান প্রজন্মকে বেশি করে ক্রিকেটে আগ্রহী করে তুলতে হলে টেস্ট ক্রিকেটের দিকে জোর করে ঠেলে দিলে চলবে না। তার জন্য টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটই আদর্শ। সচিন বলেন, “টি-টোয়েন্টির মাধ্যমে ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর ধীরে ধীরে ওয়ান ডে আর টেস্ট ক্রিকেটে আগ্রহী করে তুলতে হবে। গোড়াতেই টেস্ট ক্রিকেটকে প্যাশন করার ব্যাপার নিয়ে জোর করাটা ঠিক নয়। এটা ভিতর থেকে আসে। যদি কারও মধ্যে সেটা না থাকে তাঁকে জোর না করাই ভাল। তাঁকে টি-টোয়েন্টি খেলতে দিন। যারা টেস্ট ক্রিকেটকে ভালবাসে তারা আপনিই সে দিকে ঝুঁকবে।”
পাশাপাশি সচিন অবশ্য এটাও পরিষ্কার করে দেন যে, একজন ক্রিকেটারের জন্য টেস্টের থেকে বড় চ্যালেঞ্জ আর কিছু নেই। “রান করা বা উইকেট তোলার জন্য টেস্টই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বোলাররা যেখানে সব সময় উইকেট তোলার চেষ্টা করে যাবে। এখানে পরিকল্পনা চাই, দূরদৃষ্টি চাই, আর চাই পরিকল্পনাটা কাজে লাগানোর ক্ষমতা। যেটা টি-টোয়েন্টিতে অতটা থাকে না। তিনটে বল খেলেই টি-টোয়েন্টিতে নায়কের মতো প্যাভিলিয়নে ফেরত যাওয়া যায়। যেটা অন্য কোনও ফরম্যাটে সাধারণত ঘটে না,” বলেন তিনি।
এ দিনই আবার সচিনকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন সতীর্থ রাহুল দ্রাবিড়। ওই অনুষ্ঠানেই দ্রাবিড় বলেন, “সচিনই প্রথম ব্যাটসম্যান যে ফাস্ট বোলিংকে শাসন করেছে। সুনীল গাওস্করকে দেখে আমরা বড় হয়েছি। গাওস্করেরও ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে দুরন্ত রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু সচিন শাসন করার ব্যাপারটাকে যে পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে তার তুলনা হয় না। বীরেন্দ্র সহবাগদের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য সচিন একটা মাপকাঠি তৈরি করেছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy