জাতীয় দলে নেই তো কী, পুরোদমে ট্রেনিং চালাচ্ছেন যুবরাজ সিংহ। ছবি টুইটার
ওল্ড ট্রাফোর্ডে নামার আগেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনির টিম ইন্ডিয়াকে একহাত নিয়ে রাাখলেন প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রস। পরিষ্কার বলে দিলেন, ভারতের আরও আগ্রাসী মনোভাবই শুধু দরকার নয়, দরকার চার বোলার নিয়ে নামার স্ট্র্যাটেজি পাল্টানোরও।
স্ট্রসের মনে হচ্ছে সাউদাম্পটনে যে বোলিং নিয়ে নেমেছিল ভারত, তা অর্থহীন। ভারত পিচের চরিত্র ধরতেই পারেনি। তাঁর মতে, রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সাউদাম্পটনে দরকার ছিল। যে হেতু উইকেটে পরের দিকে স্পিন করে। কিন্তু ভারত অশ্বিনকে নামায়নি। যা দেখে নাকি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন স্ট্রস।
“আসলে চার বোলার নিয়ে টেস্ট ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। আমার মনে হয় ভারত ওখানেই সবচেয়ে বড় ভুল করছে,” বলে দিয়েছেন স্ট্রস। সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমি বুঝতে পারছি যে ওরা পিচের কন্ডিশন বুঝে টিম নামানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সাউদাম্পটন পিচ ওরা ধরতেই পারেনি। ওখানকার পিচে পরের দিকে বল ঘোরে। আমি তো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম অশ্বিনকে না দেখতে পেয়ে।”
এক দিকে পরের পর ব্রিটিশ ক্রিকেটারদের ভারতকে কটাক্ষ করে মন্তব্য। তার উপর জাডেজা বনাম অ্যান্ডারসন ঝামেলার রেশ। টিমে চোট-আঘাতের চিন্তাও আছে। ভুবনেশ্বর কুমার নামতে পারবেন কি না, এখনও ঠিক নয়। যদিও তাঁকে এ দিন প্র্যাকটিসে বল করতে দেখা গিয়েছে। উপস্থিত প্রচারমাধ্যমকে আশ্চর্য করে দিয়ে ইশান্ত শর্মাকেও দেখা গিয়েছে ভুবনেশ্বরের সঙ্গে বোলিং করতে। কিন্তু সব মিলিয়ে ধোনির টিমের পরিবেশ খুব সুখের নয়। বিরাট কোহলির সঙ্গে ধোনির ঠাট্টা-ইয়ার্কি, চেতেশ্বর পূজারাকে নিয়ে কোচ ডানকান ফ্লেচারের ক্লাস সবই আছে। কিন্তু কোথাও গিয়ে অ্যান্ডারসন কাঁটা যেন এখনও বিঁধছে টিম ইন্ডিয়াকে। আর সেই মেঘলা পরিবেশটা কাটানোর জন্য কি না কে জানে, ধোনিরা এ দিন প্র্যাকটিসের আগে একবার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড স্টেডিয়ামও চক্কর মেরে এলেন। ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে যেটা মাত্র পাঁচ মিনিটের হাঁটাপথ।
অ্যান্ড্রু স্ট্রস আবার টিম ইন্ডিয়ার এ সব ‘রিকভারি সেশন’ নিয়ে বিশেষ আগ্রহী নন। তাঁর কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বরং স্ট্র্যাটেজি। অশ্বিন ছাড়াও আরও এক জনকে সাউদাম্পটনে তিনি না দেখে অবাক হয়েছিলেন। তিনিস্টুয়ার্ট বিনি। “ওরা বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলালো, কিন্তু স্টুয়ার্ট বিনিকে বসিয়ে রাখল। এতেই বোঝা যায় যে ওরা ডিফেন্সিভ মাইন্ডসেট নিয়ে নেমেছিল। ওরা চাইছিল, ম্যাচটায় না হারতে। কিন্তু ও রকম মনোভাব নিয়ে নামলে তো দিনের শেষে আপনি হারবেনই।” পাশাপাশি ইংল্যান্ডকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত স্ট্রস। বলেছেন, “লর্ডসে যে ভাবে ওরা হেরে গিয়েছিল তার পর এ ভাবে ফিরে আসাটা সত্যিই দুর্দান্ত। লর্ডস একটা তেতো ওষুধ ছিল যা ইংল্যান্ডকে গিলতে হয়েছিল। কারণ ম্যাচে ওরা ভাল ভাবে থেকেও শেষ পর্যন্ত পারেনি। সাউদাম্পটনে তাই ওরা নেমেছিল প্রচুর চাপ নিয়ে। আর সেখানে ওদের পারফরম্যান্স প্রায় নিখুঁত ছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy