ম্যাচ ৫, হার ৪, পয়েন্ট ৪, গ্রপ টেবলে শেষের দিক থেকে দু’নম্বর।
বিজয় হাজারে (রঞ্জি একদিনের টুর্নামেন্ট) ট্রফিতে নেমে মনোজ তিওয়ারির বাংলার অবস্থা ঠিক এতটাই শোচনীয়। রঞ্জি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সুখ মাত্র সপ্তাহখানেকের অভিযানে ছারখার, বরং টিম শহরে ফিরলে অধিনায়ক মনোজের সঙ্গে বসতে চলেছেন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
স্বাভাবিক। বাংলা তো শুক্রবার নিয়মরক্ষার ম্যাচেও বিশ্রী হারল। এ বার সৌরাষ্ট্রের কাছে। ছ’উইকেটে।
এ দিন প্রথমে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মনোজ তিওয়ারি। কিন্তু ওয়ান ডে-তে যে ধরণের ব্যাটিং প্রত্যাশিত, তা মোটেও পাওয়া যায়নি বঙ্গ ব্যাটিং থেকে। চল্লিশের ঘরে করেছেন তিন জন। তিরিশের আশেপাশে আরও জনা তিনেক। কিন্তু যে গতিতে রান তোলা দরকার ছিল, সেটা মোটেই ওঠেনি। ক্রিকেটের যে ফর্ম্যাটে এখন তিনশোটাই আশঙ্কার স্কোর, যে ওয়ান ডে-তে পাটা উইকেট পেলে সময়-সময় সাড়ে চারশোও উঠে যায়, সেখানে বাংলা আড়াইশো পেরোতে হিমসিম খেয়ে গেল। ওপেনিংয়ে সায়নশেখর মণ্ডলের স্ট্রাইক রেট থাকল ষাট! অথচ রাজকোট থেকে ফোনে কেউ কেউ বললেন যে, উইকেট নাকি একম পাটা ছিল! অধিনায়ক মনোজ ৬৬ বল খেলে করলেন ৪৩। স্ট্রাইক রেট ৬৫, এবং তার পর আউট হয়ে ফিরে গেলেন। এবং লক্ষ্যের রানটা সৌরাষ্ট্র চারটে ওভার আর ছ’টা উইকেট বাকি রেখে অনায়াসে তুলে চলে গেল।
এবং বাংলার এমন হতশ্রী পারফরম্যান্স দেখার পর নানাবিধ প্রশ্ন উঠে পড়ছে। সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এমন বিপর্যয়ের পিছনে দায়ী করছেন মিডল অর্ডার ব্যাটিংকে। সেটা ঠিকই। গোটা গ্রুপ পর্বে কিছুটা সুদীপ চট্টোপাধ্যায় এবং কিছুটা সায়নশেখর বাদে কেউ কিছু করেননি। মনোজ, ঋদ্ধিমান সাহা, লক্ষ্মীরতন শুক্ল— কেউ নন। কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুলছেন, টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও। কোনও ম্যাচে ফর্মে থাকা সুদীপকে পাঁচে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কখনও তিনে। ঋদ্ধিমান সাহাও সেট ব্যাটিং অর্ডার সব সময় পাননি। বেশির ভাগ ম্যাচে পাঁচ, কখনও তিন। যা নিয়ে কারও কারও মনে হচ্ছে, ঋদ্ধিমান ইন্ডিয়া খেলেন। তাঁকে উপরের দিকে পাঠানোই যেত। টিমের দু’জন হার্ড হিটার লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং পঙ্কজ সাউকেও পাঠিয়ে নতুনত্বের চেষ্টায় যাওয়া যেত। কিন্তু বাংলা সেই রাস্তায় যায়নি। আটকে থেকেছে মাঝারিয়ানায়। গ্রুপের একটা ম্যাচেও তিনশো তোলা যায়নি, কোনও বঙ্গ ব্যাটসম্যান পাননি সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ সুদীপের। ৯৭। তাতে যা হওয়ার তাই হয়েছে।
মাঝারিয়ানার পরিণাম যা হয়— স্বপ্নের অপমৃত্যু।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলা ২৪৩-৫
(অভিমন্যু ৪৮, মনোজ ৪৩, শ্রীবৎস ৪২, লক্ষ্মী ২৩ :আ:)
সৌরাষ্ট্র ২৪৬-৪ (ব্যাস ৯৪, গনি ১-৪০)।
ছিটকে গেল কর্নাটক
রঞ্জি ট্রফির পর বিজয় হাজারের গ্রুপ পর্ব থেকেও ছিটকে গেল গত বারের চ্যাম্পিয়ন কর্নাটক। এ দিন যদিও তারা ২০৭ রানে হারাল জম্মু-কাশ্মীরকে। গ্রুপ বি থেকে নকআউটে গেল গুজরাত এবং ঝাড়খণ্ড। বাকি ছয় টিম তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, বিদর্ভ, দিল্লি, হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy