নজরে: চাণক্যের দ্বৈরথে জ়িদানকে হারালেন গুয়ার্দিওলা। ছবি: গেটি ইমেজেস
ম্যান সিটি ২ • রিয়াল মাদ্রিদ ১
(দুই ম্যাচ মিলিয়ে ম্যান সিটি ৪-২ জয়ী)
রাফায়েল ভারানের ভুলে গ্যাব্রিয়েল জেসুস গোল করার সঙ্গে সঙ্গেই টেলিভিশনের পর্দায় দু’জনের যন্ত্রণাক্লিষ্ট মুখ ভেসে উঠেছিল। এক জন রিয়াল মাদ্রিদের ম্যানেজার জ়িনেদিন জ়িদান। আর এক জন নির্বাসনের কারণে গ্যালারিতে বসে থাকা অধিনায়ক সের্খিয়ো র্যামোস।
রিয়ালের ম্যানেজার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে জ়িদান কখনও খালি হাতে ফেরেননি। তাঁর জয়রথ এ বার থামতে চলছে ৬৮ মিনিটেই বুঝতে পেরেছিলেন ফরাসি কিংবদন্তি।
শেষ ষোলোর প্রথম পর্বে ঘরের মাঠ বের্নাবাউতে ১-২ হারের পরেও হাল ছাড়েননি রিয়াল ম্যানেজার। লা লিগায় টানা দশ ম্যাচ জিতে বার্সেলোনাকে টপকে নাটকীয় ভাবে খেতাব জয় আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল জ়িদানকে। বিশ্বাস করেছিলেন এতিহাদে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবে তাঁর দল। অধিনায়ককে ছাড়াই। কিন্তু প্রতিপক্ষ ম্যানেজারের নাম যে পেপ গুয়ার্দিওলা। তাঁর ফুটবল শুধু সুন্দর নয়, ভয়ঙ্করও। দ্বিতীয়ত, ৩৪ বছর বয়সেও র্যামোস অপরিহার্য। রিয়াল অধিনায়ক শুধু রক্ষণ সামলান না, গোল করে ম্যাচও জেতান। র্যামোস-হীন রিয়ালের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই রাহিম স্টার্লিং, গ্যাব্রিয়েল জেসুস আর ফিল ফডেনকে দিয়ে আক্রমণের ঝড় তোলেন পেপ। ম্যাচের ৯ মিনিটে ভারানের ভুলে স্টার্লিং ১-০ এগিয়ে দেন ম্যান সিটিকে। ২৮ মিনিটে করিম বেঞ্জেমা অসাধারণ গোল করে রিয়ালকে ম্যাচে ফেরালেও শেষরক্ষা হল না। ৬৮ মিনিটে সেই ভারানের ব্যর্থতাতেই ২-১ করেন জেসুস। দুই পর্ব মিলিয়ে ৪-২ জিতে প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে আরও একধাপ এগোল ম্যান সিটি। লিসবনে শেষ আটে কেভিন দ্য ব্রুইনদের প্রতিপক্ষ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জুভেন্টাসকে ছিটকে দেওয়া লিয়ঁ।
হারের জন্য সতীর্থেরা তাঁকে কাঠগড়ায় না তুললেও বিধ্বস্ত ভারান বলেছেন, ‘‘আমার ভুলের জন্যই দল হেরেছে। এই রাতটা দুঃস্বপ্নের।’’
চোদ্দোতম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়ায় রাতে রিয়াল শিবিরে যখন শোকের ছায়া, ম্যান সিটিতে তখন উৎসব আবহ। জেসুস বলেছেন, ‘‘ইতিহাস বলছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালই সেরা ক্লাব। তাই ওদের হারানো আমাদের কাছে বিরাট সাফল্য। ম্যাচে ভুল হতেই পারে। কিন্তু আত্মবিশ্বাস ছিল, আমরা পারব।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমার কাজটা ছিল সারাক্ষণ ওদের ডিফেন্সকে চাপে রাখা। সেটাই করেছি। গোলও পেলাম। তাই আজ আমি বেশি খুশি।’’ সিটির হয়ে শুক্রবারই নিজের শততম গোল করা স্টার্লিংয়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘জানতাম দক্ষতায় আমরা ওদের থেকে পিছিয়ে নেই।’’ ম্যানেজার হিসেবে গুয়ার্দিওলা শেষ বার ২০১১ সালে বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছিলেন। ন’বছর পরে আবার তাঁর সামনে ইউরোপ সেরা হওয়ার হাতছানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy