বিনেশ, সাক্ষীরা তখন আন্দোলন করছেন। তাঁদের রাস্তা ধরেই কুস্তিতে আসতে চান তরুণ প্রতিভা। ছবি: পিটিআই
রাজধানী দিল্লিতে ন্যায়বিচারের দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন দেশের নামীদামি কুস্তিগিরেরা। সেই আন্দোলনের পুরোধা হরিয়ানার সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগট, বজরং পুনিয়ারা। দিল্লিতে পুলিশের হাতে কিছু দিন আগেই ভুলুণ্ঠিত হয়েছেন কুস্তিগিরেরা। এ সব দেখে অনেক উঠতি কুস্তিগিরেরই এই খেলা সম্পর্কে মোহভঙ্গ হয়েছে। কিন্তু এর উল্টো পথে হাঁটলেন ইশিকা। হরিয়ানার এই উঠতি প্রতিভা খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমসে ৫৫ কেজি বিভাগে সোনা জিতে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘কুস্তি তাঁর রক্তে’ এবং ভবিষ্যতে অলিম্পিক্স পদক চান।
বরাবরই দেশের নামী কুস্তিগিরেরা উঠে এসেছেন হরিয়ানা থেকে। সেই রাজ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে কুস্তি শেখার জন্যে। ইশিকার বাবা, দাদুরাও কুস্তিগির ছিলেন। ফলে অনুপ্রেরণার অভাব কোনও দিন হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেখে অনেকেরই যখন কুস্তি নিয়ে মোহভঙ্গ হয়েছে, তখন ইশিকার স্বপ্ন আগামী দিনে দেশের হয়ে অলিম্পিক্সে পদক জেতা। ঠিক যেমনটা করে দেখিয়েছেন সাক্ষী মালিক।
হরিয়ানার সোনিপত জেলার মেয়ে ইশিকা এখন থাকেন দিল্লিতে। অনুশীলন করেন ছত্রশাল স্টেডিয়ামে, যেখান থেকে উঠে এসেছেন অলিম্পিক্সে জোড়া পদকজয়ী সুশীল কুমার। বাবা দিল্লিতে ডিমের পাইকারি বিক্রেতা। মা গৃহবধূ। কী ভাবে এলেন কুস্তিতে? ইশিকা বলেছেন, “আমার বয়স যখন ৯ বছর, তখন হরিয়ানার গীতাঞ্জলি স্কুলে পড়তাম। সেখানে একটা জায়গায় কুস্তি দেখে আগ্রহ জন্মায়। বাবাও চাইতেন আমি কুস্তি লড়ি।”
নিজের স্বপ্ন নিয়ে ইশিকা বলেছেন, “অলিম্পিক্সে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করাই আমার স্বপ্ন। আপাতত যোগ্যতা অর্জন করাই আামার প্রধান লক্ষ্য। তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছি। সকালে এবং বিকেলে মোট আট ঘণ্টা অনুশীলন করি।”
এ ভাবেই অনুশীলন করে সাক্ষী, বজরংরা দেশকে এনে দিয়েছেন পদক। কুস্তিকর্তা ব্রিজভূষণ সিংহকে গ্রেফতারের দাবিতে অসফল হওয়ায় সেই পদকই গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে চান তাঁরা। তবে ইশিকা প্রমাণ করেছেন, কুস্তি নিয়ে স্বপ্ন এখনও শেষ হয়ে যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy