Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

লড়াকু ইয়াসিরের সেঞ্চুরি, পাকিস্তান তবু হারের দিকে

অ্যাডিলেডের দিনরাতের টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৫৮৯-৩ স্কোরে অস্ট্রেলিয়া ডিক্লেয়ার দেওয়ার পরে ৯৮ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল পাকিস্তান। মনে হচ্ছিল, তৃতীয় দিনেই না খেলা শেষ হয়ে যায়।

উচ্ছ্বাস: সেঞ্চুরির পরে ইয়াসির। রবিবার অ্যাডিলেডে। এএফপি

উচ্ছ্বাস: সেঞ্চুরির পরে ইয়াসির। রবিবার অ্যাডিলেডে। এএফপি

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০১
Share: Save:

বল হাতে তিনি চূড়ান্ত ব্যর্থ। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ৩২ ওভার করে ১৯৭ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। কিন্তু পাকিস্তানের হয়ে পাল্টা লড়াইটা শুরু হয় ইয়াসির শা-এর হাত ধরেই। তবে বোলার ইয়াসির নন, ব্যাটসম্যান ইয়াসির।

অ্যাডিলেডের দিনরাতের টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৫৮৯-৩ স্কোরে অস্ট্রেলিয়া ডিক্লেয়ার দেওয়ার পরে ৯৮ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল পাকিস্তান। মনে হচ্ছিল, তৃতীয় দিনেই না খেলা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু দুরন্ত সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের সম্মান কিছুটা হলেও বাঁচালেন ইয়াসির। আট নম্বরে নেমে ১১৩ রানের ইনিংস খেলে গেলেন এই লেগস্পিনার। যার জেরে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩০২ রানে। যদিও তাতে ফলো-অন আটকানো যায়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের স্কোর তিন উইকেটে ৩৯। ইয়াসিরের লড়াইয়ের পরেও অবশ্য হার বাঁচানো কঠিন আজহার আলির দলের পক্ষে। প্রথম ইনিংসে পাক ব্যাটিংকে একাই শেষ করে দেন মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁ-হাতি পেসার নেন ৬৬ রানে ছয় উইকেট।

বিপর্যয়ের মধ্যেও ইয়াসিরের এই লড়াই মুগ্ধ করেছে শোয়েব আখতারের মতো প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে। শোয়েব টুইট করেন, ‘‘অসাধারণ লড়াই করল ইয়াসির। আট নম্বরে নেমে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সেঞ্চুরি করা বিশাল ব্যাপার। ইয়াসির বাকিদের দেখিয়ে দিল, ‘এই ভাবে খেলতে হয়’। বাবর আজমও ভাল খেলেছে।’’ প্রথম ইনিংসে বাবর করেছিলেন ৯৭। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি মাত্র আট রান করে আউট হয়ে যান। এর আগে পর্যন্ত ইয়াসিরের সেরা টেস্ট স্কোর ছিল ৪২।

তবে গোলাপি বলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েড বলেছেন, ‘‘এত জোরে আমি স্টার্ককে বল করতে দেখিনি। নেটে স্টার্ক এবং কামিন্সকে খেলেছিলাম। ব্যাপারটা মোটেই সুখকর হয়নি। মনে হচ্ছিল, এদের দু’জনকে সামলে দিতে পারলে সবাইকে সামলে দেওয়া যাবে।’’

অ্যাশেজ সিরিজে বেশির ভাগ সময় মাঠের বাইরেই থাকতে হয়েছিল স্টার্ককে। কিন্তু পাকিস্তান সিরিজে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন তিনি। স্টার্কের সতীর্থ প্যাট কামিন্স বলেছেন, ‘‘আমি বল সে রকম সুইং করাতে পারছিলাম না। কিন্তু স্টার্ক দুরন্ত বল করছিল। ওকে খেলা খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy