চিঠি লিখে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহায্য চাইলেন রমন। ফাইল চিত্র
ভারতীয় মহিলা দল নিয়ে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। মিতলি রাজ, ঝুলন গোস্বামী, হরমনপ্রীত কৌরদের দলে নাকি ‘তারকা প্রথা’ চলে। সেই জন্য মেয়েদের দল বাইশ গজে নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না। বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির পরিচালক রাহুল দ্রাবিড়ের উদ্দেশে বেশ বিস্ফোরক চিঠি লিখেছেন মহিলা দলের সদ্য বহিষ্কৃত প্রশিক্ষক ডব্লিউ ভি রমন। সেই চিঠিতে নাকি বেশ কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারের দিকে আঙুল তুলেছেন রমন। যদিও এই বিষয়ে মহিলা সিনিয়র দলের বিদায়ী প্রশিক্ষকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তাঁর সময় দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। তবে বোর্ডের ভেতরে অনেকে মনে করেন রমেশ পওয়ারের জন্যই দল যাবতীয় সাফল্য পেয়েছে। তাই রমন বিদায়ে বিসিসিআই-এর একাংশ মোটেও অবাক নন। দলের কোনও ক্রিকেটারের নাম না নিলেও রমন নাকি চিঠিতে লিখেছেন, “তিনি সব সময় একতায় বিশ্বাস করেন। কিন্তু এই দলে ‘তারকা প্রথা’ চলে। এ ভাবে চলছে বলেই মহিলা দল সাফল্য পাচ্ছে না।”
রমন নাকি এখানেই ক্ষান্ত হননি। সূত্রের দাবি, বিদায়ী প্রশিক্ষক তাঁর চিঠিতে সৌরভকে আরও লিখেছেন, “কোন ক্রিকেটার কবে সাফল্য পেয়েছে, সেটা ভেঙে এখনও খেলা চালিয়ে যেতে পারে না। আধুনিক যুগের ক্রিকেটে সেটা সম্ভব নয়। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক হিসেবে এই বিষয় নিয়ে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।”
কিন্তু এই বিতর্কিত বিষয়ে তিনি রাহুল দ্রাবিড়কে কেন জড়ালেন? রমনের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি এনসিএ-র পরিচালক হওয়ার জন্য রাহুল পুরুষ ও মহিলা দলের সঙ্গে সেতু বন্ধনের কাজ করেন। তাই একই বিষয় নিয়ে দ্রাবিড়কেও ইমেল করেছেন রমন।
আরও শোনা যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দল নির্বাচন নিয়ে নাকি রমন এবং দল নির্বাচন কমিটির প্রধান নীতু ডেভিডের মনোমালিন্য হয়েছিল। শেফালি বর্মাকে একদিনের সিরিজে দলে নেওয়া হয়নি। শিখা পান্ডেকে আচমকাই বাদ দেওয়া হয়। সেটা নিয়ে রমনের সঙ্গে নির্বাচন কমিটির দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
তবে রমনের বিরুদ্ধেও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। অনুশীলনের সময় মাঝেমাঝেই নিজেকে গুটিয়ে নিতেন তিনি। মনোযোগ দিতেন না। যদিও রমনের ঘনিষ্ঠরা সেটা মানতে রাজি নন। বরং বলেন, “মহিলাদের টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার সময় রমন আরবের গরমে দুপুর ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনুশীলন করাত। বোর্ড সভাপতি ও সচিব এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে রমন নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিতেও রাজি।”
বেশ বোঝা যাচ্ছে। রমেশ পাওয়ার কান্ডের মতো এই ঘটনার জল অনেক দূর গড়াবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy