ঋদ্ধিমান সাহা। ছবি: এএফপি
চোট পাওয়ার পরে আঙুলের অস্ত্রোপচার করে শিলিগুড়িতে চলে এসেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। আরও কয়েক দিন এখানে বিশ্রাম নেবেন। তার পর বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যাবেন রিহ্যাবিলিটেশনের জন্য। সেখান থেকে ফিরে বাংলার রঞ্জি দলে তাঁর খেলার কথা রয়েছে। কেননা ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরের আগে আর কোনও টেস্ট সিরিজ নেই ভারতীয় দলের। বলাই বাহুল্য যে, রিহ্যাবিলিটেশন থেকে ভারতীয় উইকেট কিপার কত তাড়াতাড়ি ফিরবেন, সে দিকে মুখিয়ে রয়েছে বাংলা শিবির।
শিলিগুড়িতে এলে তাঁর ক্লাব অগ্রগামী সঙ্ঘে যান ঋদ্ধিমান ওরফে পাপালি। কোচ জয়ন্ত ভৌমিক এবং ক্লাবের জুনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে সময় কাটান। খেলা নিয়ে নানা আলোচনা চলে। তবে দিন কয়েক শিলিগুড়িতে কাটিয়ে দিলেও এ বার এখনও যেতে পারেননি। শনিবার শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মেলার মাঠে বইমেলায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। মেলা কমিটি জানায়, স্ত্রীর অসুস্থার জন্য ঋদ্ধিমান আসতে পারেননি। সেই মতো সোমবার যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এ দিনও যাননি। তবে আঙুলের চোট নিয়ে তিনি কতটা চিন্তিত, তা নিয়ে শিলিগুড়ির ক্রিকেটপ্রেমী তথা ঋদ্ধির ফ্যানরাও উদ্বিগ্ন। এ দিন পাপালি অবশ্য বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে আরও কয়েক দিন থাকছি। হাতের চোট অনেকটাই ভাল।’’
সম্প্রতি ইডেনে বাংলাদেশের সঙ্গে দিন-রাতের ম্যাচে ডান হাতের আঙুলে চোট পান ঋদ্ধিমান। ডান হাতের অনামিকায় চোট লাগে। পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান আঙুলে চিড় ধরেছে। সেই মতো বাংলাদেশের সঙ্গে ওই ম্যাচের পর দিন তিনি চলে গিয়েছিলেন মুম্বাইতে। সেখানে অস্ত্রোপচার করিয়ে কলকাতায় ফেরেন গত বৃহস্পতিবার। কলকাতায় ফেরার পরেই বিশ্রামের জন্য চলে এসেছেন নিজের বাড়ি শিলিগুড়িতে।
ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহালি বলেছেন, ঋদ্ধিই এখন বিশ্বের সেরা উইকেটকিপার। সেই ঋদ্ধি তাঁর নিজের শহরকেই বিশ্রামের জন্য বেছে নেওয়ায় শিলিগুড়ি খুশি।
তবে ১৭ ডিসেম্বর রঞ্জির প্রথম ম্যাচ তাঁর কাছে অনিশ্চিত। কেন না ঋদ্ধিই জানিয়েছিলেন, তাঁর ধারণা পাঁচ সপ্তাহের বেশি রিহ্যাবিলিটেশনের-এর জন্য লাগার কথা নয়। হাতের চোটকে সাধারণ বলেই মনে করছেন তিনি। তবুও প্রথম ম্যাচে তিনি অনিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে পাপালির বারবার চোট পাওয়া নিয়ে তাঁর ফ্যানরাও চিন্তিত শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়িতে তাঁর কোচ জয়ন্ত ভৌমিকের সঙ্গেও ঋদ্ধির কথা হয়েছে। জয়ন্ত ভৌমিক বলেন, ‘‘তেমন কোনও বড় চোট নয় বলেই ও আমাকে বলেছে। চোট নিয়েও তো খেলেছে। খুব দ্রুত ও মাঠে ফিরবে বলেই আশাবাদী।’’
জয়ন্তবাবু কলকাতায় রয়েছেন। চার ডিসেম্বর তিনি কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে ফিরবেন। তিনি ফিরলে তাঁর সঙ্গে ঋদ্ধির দেখা হবে বলেই তিনি জানান। ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচ ফিরে এলেই একদিন ক্লাবে আসার কথা রয়েছে ঋদ্ধিমানে। ক্লাবের কর্মকর্তা এবং ক্রিকেটাররাও মুখিয়ে রয়েছে ঋদ্ধির সঙ্গে দেখা করতে। ইডেনের ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে অভিনন্দন জানাতে। এদিন বইমেলায় না গেলেও শিলিগুড়ির শক্তিগড়ে তাঁর মামা পার্থ গোস্বামীর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy