বিশ্ব দাবা সংস্থার (ফিডে) সঙ্গে লড়াইয়ে নামলেন বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেন। ফিডে-র প্রধান আর্কাডি ভোরকোভিচের পদত্যাগ দাবি করলেন তিনি। ফাঁস করলেন ব্যক্তিগত কথাবার্তাও।
সমাজমাধ্যমে ভোরকোভিচ এবং কার্লসেনের বাবা হেনরিকের কথাবার্তার ছবি পোস্ট করেন বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু। সেখানে দেখা যাচ্ছে ফিডে-র প্রধান জানিয়েছেন, ফ্রিস্টাইল দাবা প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে কোনও দাবাড়ুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু বাস্তব ছবিটা আলাদা। ফিডে এবং ফ্রিস্টাইল দু’টি আলাদা সংস্থা। এই দুই সংস্থার মধ্যে গন্ডগোল। তাতেই ফিডে-র উপর ক্ষুব্ধ কার্লসেন।
ফিডে এবং ফ্রিস্টাইলের মধ্যে গন্ডগোলের কারণ প্রতিযোগিতার নাম। দু’টি সংস্থাই ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ’ নামে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ফ্রিস্টাইল সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কার্লসেন। তাঁর সঙ্গে ইয়ান হেনরিক বুয়েটনার দাবার নতুন একটি প্রতিযোগিতা তৈরি করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে যে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কথা। সেই প্রতিযোগিতার নাম ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ’ দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে আপত্তি ফিডে-র। তাদের দাবি, শুধু তারাই কোনও প্রতিযোগিতার নাম ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ’ রাখতে পারবেন। কার্লসেনের দাবি, দাবাড়ুদের একটি চুক্তিতে সই করাচ্ছে ফিডে। অন্য কোনও সংস্থার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বাঁধা দেওয়ার জন্যই ওই চুক্তি বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
কার্লসেন বলেন, “২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর আমার বাবাকে ফিডে-র তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, ফিডে এবং ফ্রিস্টাইলের মধ্যে যাই হয়ে যাক, তাতে দাবাড়ুদের কোনও সমস্যা হবে না।” ভোরকোভিচ জানিয়েছেন যে, ফিডে যদি তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তা হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। কার্লসেনের দাবি, ফিডে সভাপতির পদত্যাগ করা উচিত। কারণ তিনি যে কথা দিয়েছিলেন, তা রাখতে পারেননি।
ফিডে-র তরফে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে কার্লসেনের সংস্থার দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ফ্রিস্টাইলের প্রতিযোগিতায় যোগ্যতা অর্জন পর্ব স্বচ্ছ নয়। সেখানে বাছাই কিছু খেলোয়াড়কে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে ওই প্রতিযোগিতাকে ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর তকমা দেওয়া যাবে না।
ফ্রিস্টাইলের সঙ্গে প্রথম দিকে যুক্ত ছিলেন ভারতের বিশ্বনাথন আনন্দও। কিন্তু ফিডে-র চাপে তিনি সেখান থেকে সরে আসেন।