প্রত্যয়ী: ইংল্যান্ডের মুখ এখন তিনিই। অনুশীলনে হ্যারি কেন। ছবি: এএফপি
বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করার এ বারই সেরা সুযোগ পাচ্ছে ইংল্যান্ড। দাবি কিংবদন্তি ইংরেজ ফুটবলার ব্রায়ান রবসনের। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মানছি বেলজিয়াম ম্যাচ আমরা খুব খারাপ খেলেছি। বরং তুলনামূলক ভাবে আমাদের কাজটা সহজ হত শেষ ষোলোয় জাপানকে পেলে। তবু যে সুযোগ এ বার আমাদের সামনে এসেছে তাকে কাজে লাগাতে না পারলে আমি প্রচণ্ড হতাশ হব।’’
সুযোগ কতটা সহজ তারও ব্যাখ্যা করেছেন রবসন, ‘‘শনিবার পর্তুগাল ছিটকে গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্পেনও। তাই আমাদের দিকে দারুণ ভাল কোনও দল এখন আর নেই। কলম্বিয়াকে হারাতে পারলে সেমিফাইনালে ওঠার রাস্তাও পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।’’
প্রতিপক্ষ হিসেবে জাপানের চেয়ে কলম্বিয়াকে কঠিন মনে করছেন রবসন। কিন্তু অতীতে কখনও ইংল্যান্ডকে তারা হারাতে পারেনি। শেষ বার দু’দলের খেলা হয়েছিল অবশ্য সেই ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপে। সে বারও ইংল্যান্ডই ২-০ জেতে। গ্যারেথ সাউথগেটের দলে যিনি মাঝমাঠে ঝড় তোলেন সেই জেসে লিনগার্ড কিন্তু মনে করেন এ বারের কলম্বিয়া তাঁদের কাছে বেশ কঠিন বাধা। তিনি আলাদা করে বলেছেন রাদামেল ফালকাওয়ের কথা। কলম্বিয়ার এই স্ট্রাইকারকে নিয়ে লিনগার্ডের মন্তব্য, ‘‘রাদামেল অসাধারণ ফুটবলার। বিপক্ষ বক্সে ভয়ঙ্কর। ওকে দেখলেই মনে হয় যে কোনও সময় গোল করে দেবে।’’
লিনগার্ড উচ্ছ্বসিত তাঁদের কোচ সাউথগেটকে নিয়েও। ‘‘অসাধারণ ভাবনা নিয়ে আমাদের কোচ কাজ শুরু করেছিলেন। সেই ভাবনা আমাদের খেলার ধরনের সঙ্গে দারুণ মিলে যাচ্ছে। সব চেয়ে ভাল লেগেছে ওঁর তরুণদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছেটা দেখে। সঙ্গে কয়েক জন অভিজ্ঞও আছে। আমাদের ‘টিম স্পিরিট’ যে এত ভাল তার জন্য এই কোচের অবদান অনেকটাই।’’
লিনগার্ডকে প্রশ্ন করা হয়, খেলা টাইব্রেকারে গেলে পেনাল্টি কারা মারবেন তা ঠিক হয়েছে কি না। লিনগার্ডের জবাব, ‘‘আমরা প্রচুর পেনাল্টি মারার অনুশীলন করেছি। তবে ঠিক কোন পাঁচ জন টাইব্রেকারে মারতে যাবে কিছু ঠিক হয়নি। কিন্তু প্রত্যেকে পেনাল্টি থেকে গোল করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’’
কলম্বিয়া ম্যাচেও ইংল্যান্ড যে গোলের জন্য হ্যারি কেন-এর দিকে তাকিয়ে থাকবে সেটা পরিষ্কার। কেন নিজে জানিয়েছেন যে, মাঠে নামলেই গোল পাবেন এই বিশ্বাসটা তাঁর তৈরি হয়েছে। জীবনের প্রথম দু’টি বিশ্বকাপ ম্যাচেই পাঁচ গোল করে কেন এখন সোনার বুটেরও দাবিদার। বেলজিয়াম ম্যাচে তাঁকে খেলানো হলে গোল সংখ্যাও বাড়িয়ে নিতে পারতেন। কেন-এর বক্তব্য, ‘‘এখন মনে হচ্ছে সব ম্যাচেই আমি গোল পাব। বিশেষ করে যখন গোলের সামনে আমার কাছে বল এসে পড়ছে। হ্যাটট্রিকের পরের ম্যাচই কলম্বিয়ার সঙ্গে খেলব। আবার গোল করতে চাই। করা দরকারও। কারণ এই ম্যাচটা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে।’’
তাঁর সোনার বুট জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কেনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার লক্ষ্য সোনার বুট নয়। বিশ্বকাপটা দেশে নিয়ে যেতে চাই। সে জন্যই আমাকে গোল করতে হবে। তবে সেই সঙ্গে সোনার বুটটা নিতে পারলে খারাপ হয় না। কিন্তু তার জন্য সবার আগে বিশ্বকাপে টিঁকে থাকতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy