সক্রিয়: ছেলেদের এ ভাবেই তাতাচ্ছেন তিতে। ফাইল চিত্র
বলা হচ্ছে, রাশিয়ায় খেতাবের বড় দাবিদার ব্রাজিল। বুধবার সার্বিয়া ম্যাচের পরে ফুটবল পণ্ডিতেরা নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রদেরই এগিয়ে রাখছেন। বিশেষ করে জার্মানি বিদায় নেওয়ায়। ব্রাজিলের কোচ তিতেও ব্যাপারটা আঁচ করছেন। এবং সার্বিয়াকে ২-০ হারিয়ে উঠে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাজিল কোচ দাবি করছেন, তাঁদের ফেভারিট ভাবাটা দলের কাছে মোটেই চাপের নয়। তিতের মন্তব্য, ‘‘সবাই বলছেন আমরা কাপ জিততে পারি। অনেকের কাছে এটা চাপ। কিন্তু আমাদের কাছে নয়। চাপ সামলানোর ক্ষমতা আমার ছেলেদের আছে।’’ নিজের দলের প্রশংসা করে তিনি যোগ করেছেন, ‘‘আমাদের দলে ভারাসাম্য রয়েছে। তাই যে কোনও জায়গায় বিকল্প খুঁজে নিতে সমস্যা হয় না। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দলের কাছে।’’
ভারসাম্য প্রসঙ্গে মার্সেলোর উদাহরণ টেনেছেন তিতে। তাঁর কথা, ‘‘শুরুতেই মার্সেলো চোট পেল। আর আমরা অবলীলায় ওর পরিবর্ত নামিয়ে দিলাম।’’ তিতে মনে করেন, বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের শক্তি ক্রমশ বাড়ছে। ‘‘জানি, আমাদের নিয়ে অনেক প্রত্যাশা। আমরা কিন্তু এটাকে সাদরে গ্রহণ করেছি। প্রত্যাশা সৃষ্টি হওয়ার কারণও আছে। সব চেয়ে বড় কারণ যোগত্যা অর্জন পর্বে আমাদের খুব ভাল খেলা। অবশ্য বিশ্বকাপের আসল লড়াইয়ের সঙ্গে তার তুলনা চলে না। এখানে অন্য রকম পরিবেশ। প্রতিযোগিতার কাঠামোও আলাদা,’’ বলেছেন তিতে।
এখন পর্যন্ত খেলা দলের তিনটি ম্যাচের বিশ্লেষণ করতে বসে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তিনটে ম্যাচ খেলেছি আমরা। আমাদের দল এখন প্রায় সেরা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।’’ তিতে মনে করেন তাঁর এই মুহূর্তে সব চেয়ে বড় সমস্যা প্রথম এগারো বেছে নেওয়া। জানিয়েছেন, সার্বিয়া ম্যাচেই লিভারপুলের রবের্তো ফির্মিনোকে বসিয়ে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির তারকা ফার্নান্দিনহোকে নামানোটা বেশ কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। তবু এই কাজটা তিনি করে যেতে চান। বলেছেন, ‘‘খুব বেশি দিন তো বিশ্বকাপ চলে না। তাই সব ব্যাপারেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমি মাথায় রাখি কাদের সঙ্গে খেলা। সেই অনুযায়ী দল বেছে ফেলি।’’
মার্সেলোর চোট নিয়ে তিতের কথা, ‘‘মার্সেলোর সর্বশেষ অবস্থা আমি জানি না। শুধু জানি ওর পিঠে সমস্যা। মাঝে মাঝে আড়ষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার মানে ওর পেশিতে টান ধরছে। এই অবস্থায় কাউকে খেলানো যায় না।’’ এ দিকে মার্সেলোর চোট নিয়ে ব্রিটিশ সংবামাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, হোটেলের বিছানায় শুয়েই তাঁর এ রকম হয়েছে। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমারও তাই মনে করেন। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ৯ মিনিট রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার মাঠে ছিলেন। তার পরই পিঠে হঠাৎ ব্যথা শুরু হওয়ায় কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন।
আরও পড়ুন: ফেয়ার প্লে-তে শেষ ষোলোয় জাপান, উঠল কলম্বিয়াও
এমনিতে মার্সেলো না থাকলেও তাঁর অভাব বুঝতে দেননি থিয়াগো সিলভা। বার বার ওভারল্যাপে উঠে এসেছেন। এমনকি গোলও করেছেন। তিতে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ব্রাজিল দলের কোচ ছিলেন দুঙ্গা। তিনি কিন্তু থিয়াগোকে নিয়মিত খেলাতেন না। এটা নিয়ে যে তাঁর মনে যে ক্ষোভ রয়েছে তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। ঘুরিয়ে হলেও বলে ফেললেন, ‘‘অনেকে হয়তো ভাবতেন আমি খেললে, ব্রাজিল গোল খেয়ে যাবে। কিন্তু এই বিশ্বকাপে আমরা এখনও একটা মাত্র গোল খেয়েছি ভেবে গর্বই হচ্ছে। তিতে আমার উপর আস্থা রাখছেন। কিন্তু অতীতে সবাই রাখেননি।’’ সিলভা মনে করেন, রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণে উঠে গোল করাটা তাঁর বাড়তি প্রাপ্তি।
এ দিকে, বুধবার ম্যাচের পরে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। গ্যালারির একাধিক জায়গায় সার্বিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্যে জড়িয়ে পড়েন ব্রাজিলীয় সমর্থকরা। তার বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হলে দেখা যায় দুটি দেশের সমর্থকই একাধিক জায়গায় পরস্পরকে মারধর করছে। রুশ পুলিশ ন’জনকে গ্রেফতারও করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy