চর্চায়: শুভমনকে কি ওপেন করতে দেখা যাবে? ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টিতে ৫-০ সিরিজ জেতার পরে ওয়ান ডে-তে ০-৩ হেরেছে ভারত। এ বার সামনে দু’ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। যেখানে পূর্ণশক্তি নিয়ে নামতে পারে নিউজ়িল্যান্ড। বুধবারই বিপক্ষ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন জানিয়ে দিয়েছে, টেস্টের আগে ফিট হয়ে যেতে পারে ট্রেন্ট বোল্ট। শুরুতে এই বাঁ-হাতি পেসারের সুইং সামলানোর দায়িত্ব কে নেবে?
রোহিত শর্মার চোট। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ওপেনারের ভূমিকায় তাকে দেখা যাবে না। রোহিতের বিকল্প হোক শুভমন গিল। এই দেশ থেকেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে ক্রিকেট বিশ্বের কাছে পরিচিতি পেয়েছিল শুভমন। তার উপরে গত এক মাস ধরে ভারতীয় ‘এ’ দলের সঙ্গে নিউজ়িল্যান্ডে রয়েছে শুভমন। পরিবেশ ও উইকেট সম্পর্কে ওর ধারণা পরিষ্কার। নিউজ়িল্যান্ড ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে দু’টি বেসরকারি টেস্টে প্রচুর রান করেছে। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ‘এ’ দল যেখানে ২১৩ রানে অলআউট, শুভমন একাই করেছিল ৮৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি (অপরাজিত ২০৪)। দ্বিতীয় টেস্টেও ১৩৬ রানের দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়েছে। এটাই প্রমাণ করে দেয়, ও কতটা ছন্দে।
তাই পৃথ্বীর আগে প্রথম একাদশে জায়গা দেওয়া উচিত শুভমনকেই। ওয়ান ডে সিরিজে হারের পিছনে অন্যতম কারণ কিন্তু ওপেনিং জুটিতে বড় রান না হওয়া। সেটা টেস্টে হলে ঝামেলা হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রস্তুতি ম্যাচে মায়াঙ্কের সঙ্গে ওপেন করিয়ে ওকে দেখে নিক অধিনায়ক বিরাট কোহালি। শুরুতে শুভমন নতুন বল সামলে দিলে মাঝের সারির ব্যাটসম্যানেরা কিছুটা স্বস্তিতে থাকবে। দলে কে এল রাহুলকে দেখতে না পেয়ে আমি কিছুটা অবাকই হয়েছি। ও এখন ভারতের ‘গো টু ম্যান’। ওপেনিংয়ে সফল। মিডল অর্ডারে সেঞ্চুরি করছে। ওয়ান ডে সিরিজে দারুণ খেলল। উইকেটকিপিংও খারাপ করছে না। টেস্টে ওর মতো পরিশ্রমী ও প্রতিভাবান ক্রিকেটারের অভাব অনুভব করতে পারে ভারত।
বিরাট-বাহিনীর আরও এক চিন্তা, ছন্দহীন যশপ্রীত বুমরা। ওয়ান ডে সিরিজে একটিও উইকেট পায়নি। যেটা সিরিজ হারের বড় কারণ। কিন্তু টেস্টে ওর ছন্দ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, ওয়ান ডে-তে বুমরার বিরুদ্ধে ঝুঁকি নেয়নি রস টেলররা। ওর ওভারগুলোয় খুচরো রান নিয়ে বাকিদের আক্রমণ করেছে। টেস্টে সেটার সুযোগ পাবে না। তিনটি স্লিপ ও একটি গালি নিয়ে ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভ স্টেডিয়ামে টানা বল করবে ও। হাওয়া, পিচের আর্দ্রতার সাহায্য নিয়ে নিউজ়িল্যান্ড শিবিরের ত্রাস হয়ে উঠতে পারে বুমরা। ইশান্ত শর্মা ফিট না হলেও মহম্মদ শামি ও উমেশ যাদবের মতো শক্তিশালী বোলারের সঙ্গ পাবে ও। এই ভারতীয় পেস শক্তি কিন্তু বিশ্বের যে কোনও দলের বিপদ ডেকে আনতে পারে।
তিন পেসার, এক স্পিনারে খেলা উচিত ভারতের। আর অশ্বিনকেই প্রথম একাদশে দেখতে চাই। কারণ, ওদের দলে বাঁ-হাতি বেশি। জিৎ রাভাল, হেনরি নিকোলস, টম লাথামরা নিশ্চয়ই খেলবে। ওদের বিরুদ্ধে জাডেজার চেয়েও অশ্বিন বেশি সমস্যা তৈরি করতে পারে। অশ্বিনের বল পড়ে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের বাইরের দিকে যায়। কোনওটা ভিতরে আসে। এটাই সমস্যা তৈরি করবে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের জন্য। হয়তো ব্যাটসম্যান হিসেবে জাডেজা অন্যতম ভরসা। কিন্তু অশ্বিনেরও টেস্ট সেঞ্চুরি রয়েছে। ওর ব্যাটিং প্রতিভাকে একেবারেই ছোট করা যায় না।
ভারতীয় দলকে আরও একটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বোল্ট ও টিম সাউদিকে সামলানোর পরেই তৈরি থাকতে হবে নিল ওয়াগনারের আগ্রাসী বোলিংয়ের জন্য। ওয়াগনার খাটো লেংথের বল করে ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। বর্তমান ক্রিকেটে শরীর ও মাথা লক্ষ্য করে বল করতে ওর মতো আমি একজনকেও দেখিনি। দ্রুততম ২০০ উইকেট শিকারি নিউজ়িল্যান্ড বোলারদের তালিকায় ও দ্বিতীয় স্থানে। ৪৬টি টেস্ট খেলে এই স্বীকৃতির মালিক ওয়াগনার। ৪৪টি টেস্টে ২০০ উইকেট নিয়ে শীর্ষে রিচার্ড হ্যাডলি। আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ওয়াগনার। ওর প্রত্যেক ওভারে তিনটি বাউন্সারের জন্য তৈরি থাকতে হবে ভারতীয় দলকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy