ওয়াসিম আক্রম। ফাইল চিত্র।
ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার বিমানবন্দরে হেনস্থার মুখে পড়তে হল পাক ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রমকে। তিনি ডায়াবিটিসের রোগী। ফলে ইনসুলিন সঙ্গে নিয়ে চলতে হয়। অভিযোগ, মঙ্গলবার ওই বিমানবন্দরে তাঁর ইনসুলিন ঠান্ডা রাখার প্যাকেট থেকে সেটি বার করে অন্য একটি সাধারণ পলিথিনের প্যাকেটে ঢোকাতে বাধ্য করা হয়। বিমানবন্দরের কর্মীরা তাঁর সঙ্গে যে ব্যবহার করেছেন, তাতে ভীষণই ক্ষুব্ধ হয়েছেন আক্রম।
দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ওয়াসিম। ইনসুলিন তাঁর সব সময়ের সঙ্গী। ইনসুলিন সাধারণের থেকে কম তাপমাত্রায় রাখতে হয়। তাই একটি রাখতে হয় একটি বিশেষ ধরনের প্যাকেটে। তিপান্ন বছরের প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার এ বারের বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দলের সঙ্গে ছিলেন। আক্রমের দাবি, সারা বিশ্ব ইনসুলিনের ওই বিশেষ প্যাকেট নিয়ে ঘুরলেও আজ পর্যন্ত কোথাও তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু মঙ্গলবার ম্যাঞ্চেস্টারে তাঁর সঙ্গে যে ব্যবহার করা হল তা ‘হৃদয় বিদারক’।
আক্রম এ দিন বিমান ধরার জন্য ম্যাঞ্চেস্টার বিমানবন্দরে পৌঁছন। সেখানে সিকিউরিটি চেকের সময় তাঁর ইনসুলিনের ব্যাগটি পলিথিনের প্যাকেটে ঢোকাতে বলেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা। এমনকি তাঁকে রূঢ় ভাবে প্রকাশ্যে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন আক্রম।
আরও পড়ুন: ঘরে ছাপা নোট নিয়ে অডি কিনতে গেলেন জার্মান মহিলা!
আরও পড়ুন: ছবির মতো সুন্দর এই হ্রদে স্নান করলেই অসুস্থ হয়ে পড়বেন!
Very disheartened at Manchester airport today,I travel around the world with my insulin but never have I been made to feel embarrassed.I felt very humiliated as I was rudely questioned & ordered publicly to take my insulin out of its travel cold-case & dumped in to a plastic bag pic.twitter.com/UgW6z1rkkF
— Wasim Akram (@wasimakramlive) July 23, 2019
আক্রামের টুইটটি নজরে পড়ে ম্যাঞ্চেস্টার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। বিমানবন্দরের অফিসিয়াল হ্যান্ডল থেকে আক্রমের উদ্দেশে লেখা হয়,বিষয়টি তাদের নজরে আনার জন্য ধন্যবাদ। সেই সঙ্গে আক্রমকে জিজ্ঞেস করা হয়, বিষয়টি তিনি সরাসরি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন কিনা?
Hi Wasim, thanks for bringing this to our attention. Please can you direct message us so we can look into this for you?
— Manchester Airport (@manairport) July 23, 2019
আক্রমও দেরি না করে উত্তর দিয়েছেন। ম্যাঞ্চেস্টার বিমানবন্দরে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ রাখবেন বলে জানিয়ে দেন।
I appreciate your prompt response and assure you I will be in touch.
— Wasim Akram (@wasimakramlive) July 23, 2019
পরে আক্রম জানান, তিনি বাড়তি কোনও সুবিধা চান না। কিন্তু আশা করেন বিমানবন্দর আধিকারিকরা সবার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট আচরণ বিধি মেনে কাজ করবেন।
I do not believe I should have been treated differently from anyone else. I just believe there should be a standard of care when dealing with all people. I understand there are proper safety precautions but that doesn’t mean people should be humiliated whilst undergoing them.
— Wasim Akram (@wasimakramlive) July 23, 2019
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy