Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

হেলমেট পরলে খুব অস্বস্তি হত, মেরুন টুপিটাই ছিল ভিভের গর্ব

অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট শুরুর আগে সামনাসামনি দুই কিংবদন্তি। যেখানে স্বয়ং বিরাট কোহালি সাক্ষাৎকার নিলেন ভিভ রিচার্ডসের। 

অভিনব: অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার আগে ভিভ রিচার্ডসের সাক্ষাৎকার নিলেন বিরাট কোহালি। টুইটার

অভিনব: অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার আগে ভিভ রিচার্ডসের সাক্ষাৎকার নিলেন বিরাট কোহালি। টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫২
Share: Save:

কিং কোহালির মুখোমুখি কিং রিচার্ডস! অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট শুরুর আগে সামনাসামনি দুই কিংবদন্তি। যেখানে স্বয়ং বিরাট কোহালি সাক্ষাৎকার নিলেন ভিভ রিচার্ডসের।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পোস্ট করা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে কোহালি বলছেন, ‘‘আমি আজ এমন একটি কাজ করতে যাচ্ছি, যা করতে আমাকে সচরাচর দেখা যায় না। তবে এই কাজটা করতে পেরে আমি দারুণ খুশি। আসুন, আলাপ করিয়ে দিই আমাদের ব্যাটসম্যানদের সামনে সব চেয়ে বড় প্রেরণা— ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে।’’ এর পরে ভিভের দিকে তাকিয়ে কোহালি বলে ওঠেন, ‘‘এই ভাবে সময় দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।’’

পাশাপাশি দুই চেয়ারে বসে এর পরে যে ভাবে চলল দুই কিংবদন্তির কথোপকথন:

কোহালি: আমরা আপনার খেলার ভিডিয়োয় দেখেছি, হেলমেট ছাড়া, শুধু মাত্র একটা টুপি পরে ব্যাট করতে নামছেন। আমি জানি, তখনকার সময় পিচ সে রকম ভাল হত না বা সে ভাবে ঢাকা দেওয়া থাকত না। ব্যাট করতে নামার সময় কী ভাবতেন? বিশেষ করে যখন জানতেন, সে রকম কোনও সুরক্ষা নেই। বোলাররা যত খুশি বাউন্সার দিতে পারবে। ওই অবস্থায় ড্রেসিংরুম থেকে ক্রিজে পৌঁছনোর সময় আপনার মাথায় কী চলত?

রিচার্ডস: আমার বিশ্বাস ছিল, আমিই সেই লোক যে কাজটা করতে পারবে। মনে হতে পারে আমি একটু দাম্ভিক। কিন্তু ঘটনা হল, আমার সব সময় বিশ্বাস ছিল আমি এমন একটা খেলার সঙ্গে জড়িত, যেটা সম্পর্কে আমার খুব ভাল ধারণা আছে। আমার নিজের উপরে সব সময় আস্থা ছিল। বলের আঘাত লাগলেও তা সহ্য করার ক্ষমতা থাকা দরকার। মিথ্যে বলব না, হেলমেটও আমি কয়েক বার পরেছি। কিন্তু অস্বস্তির সঙ্গেই পরেছিলাম। তাই আবার আমার সেই টুপি, সেই মেরুন টুপিতেই ফিরে যাই। ওই টুপিটা নিয়ে আমার গর্বের শেষ নেই। আমার মানসিকতাই ছিল যে, আমি যোগ্য বলেই এই জায়গায় আছি। যদি চোট লেগে যায়, সেটা ঈশ্বরের ইচ্ছে। আমি ঠিক লড়াই করে ফিরে আসব।

কোহালি: আমার মনে হয়, চোট লাগলে সেটা ইনিংসের শুরুর দিকে লেগে গেলেই ভাল হয়। তা হলে বুঝে যাব, চোট লাগলে কেমন অনুভূতি হয়। চোট লাগলে কী হবে, এই ভাবনাটা তখন আর থাকে না। চোট পেলে সেটা আমাকে আরও ভাল খেলতে উদ্বুদ্ধ করবে। আমি তখন দেখব, যাতে আর আঘাত না পাই।
রিচার্ডস: ব্যাট করার সময় চোট লাগতেই পারে। চোট লাগার পরে কী ভাবে তুমি ফিরে আসতে পারছ, সেটাই আসল ব্যাপার। এখন তো অনেক সুরক্ষার সরঞ্জাম বেরিয়ে গিয়েছে। আগে তো এ রকম ছোট গার্ড (চেস্ট গার্ড) কিছু ছিল না। তখন পাঁজরে বল লাগত। যন্ত্রণাটা তখন টের পাওয়া যেত। তবে এ সবই খেলার অঙ্গ।

কোহালি: আপনার ক্রিকেট জীবনে কী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন? আর নিজের ওপর এতটা বিশ্বাস রাখতেন কেমন করে?

রিচার্ডস: আমি সব সময় বিশ্বাস করতাম, চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ক্ষমতা আছে আমার। আর নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করতাম। আমি এই ব্যাপারটা তোমার মধ্যে দেখেছি। একই রকম আবেগ দেখেছি। আমি নিশ্চিত, মাঝে মাঝেই লোকে আমাদের দেখে বলে, ‘‘ওরা এত রেগে থাকে কেন?’’ হেসে ওঠেন দুই কিংবদন্তিই। এ যেন এক রাজার শ্রদ্ধার্ঘ্য অন্য এক রাজার প্রতি।

বিরাট বরাবর ভিভ রিচার্ডসের ভক্ত। ভিভও সেই বিরাটের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পান।

অন্য বিষয়গুলি:

Cricket Virat Kohli Viv Richards
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy