প্রশংসা: ভিভের অভিনন্দন শাস্ত্রীকে। ফাইল চিত্র
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে ৭-০ হোয়াইটওয়াশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০, ওয়ান ডে-তে ২-০ (একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল), টেস্টে ২-০। ট্রফির সঙ্গে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তির সর্বোচ্চ প্রশংসাও জিতে নিলেন বিরাট কোহালিরা। সেই কিংবদন্তি আর কেউ নন, স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডস।
অ্যান্টিগায় নিজের দ্বীপে ভিভ দেখা করেছিলেন বিরাট এবং রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে। জামাইকায় সিরিজ জেতার সময়েও ছিলেন। ভারতীয় দল জেতার পরে কোহালি, শাস্ত্রীকে এসে অভিনন্দন জানিয়ে যান কিং রিচার্ডস। হেড কোচ শাস্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অনেক দিনের বন্ধুত্ব এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ভারতে ভিভের দলের বিজয়রথ থামিয়েছিলেন অধিনায়ক শাস্ত্রী। সেই টেস্টে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তিনি। নরেন্দ্র হিরোয়ানির অভিষেক টেস্ট ছিল সেটা। ওয়েস্ট ইন্ডিজে শাস্ত্রীর দু’টো টেস্ট সেঞ্চুরি রয়েছে। যার একটি ভিভের অ্যান্টিগায়। মার্শাল, হোল্ডিং, রবার্টসদের বিরুদ্ধে করা। ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংসে (ডিরেক্টর পদ ধরলে এটা তৃতীয় ইনিংস) অ্যান্টিগাতেই প্রথম টেস্ট জেতেন তিনি। জেতার আনন্দে সমুদ্রের ধারে দু’হাত প্রসারিত করে তোলা ছবি পোস্ট করেন টুইটারে।
জামাইকায় ভারতের সিরিজ জয়ের পরে শাস্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলে যান ভিভ, ‘‘দারুণ লাগছে তোমার দলকে। এমন ভারতীয় দল আর আমি দেখিনি, যারা সব ম্যাচ জেতার জন্য খেলতে নামে।’’ পাশে দাঁড়ানো বোলিং কোচ বি অরুণকে এর পর তিনি বলেন, ‘‘এত দুর্ধর্ষ ভারতীয় বোলিং আক্রমণও আমি আর কখনও দেখিনি। আমরা যখন খেলতাম, অনেকের মুখে শুনতাম ভারতের বোলিং দুর্বল। এমন ভয়ঙ্কর ভারতীয় বোলিং দেখতে পাব, সত্যিই কখনও ভাবতে পারিনি!’’ এর পরেই সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের মন্তব্য, ‘‘এমনই শাসকের মতো খেলছে তোমাদের ভারতীয় দল যে, অভিনন্দন জানাতে জানাতেও ক্লান্ত হয়ে পড়ছি।’’
হনুমার ব্যাটিং দেখে খুশি কোহালি। টুইটার
একটা সময় ছিল যখন ক্লাইভ লয়েড বা ভিভের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায়। তখন তাঁদের বিরুদ্ধে একটা ম্যাচ জিততে পারাটাও ছিল দারুণ কৃতিত্বের। ক্যারিবিয়ান কিংয়ের মুখ থেকে এমন প্রশংসা শোনাটা তাই বাড়তি ‘ট্রফি’ হয়ে থাকছে কোহালির দলের কাছে। কোচ শাস্ত্রীকে নিয়ে অবশ্য মুগ্ধ হনুমা বিহারীও। ম্যাচের শেষে বিসিসিআই টিভি-তে তিনি ফিল্ডিং কোচ শ্রীধরকে বলেন, রান পাওয়ার জন্য কোচের কাছে বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ তিনি। বিহারী বলেন, ‘‘কোচের পরামর্শে আমি দারুণ উপকার পেয়েছি। প্রথম দিকে একটু বেশি খাড়া থেকে ব্যাট করছিলাম। কোচ আমাকে বলেন, হাঁটুটা একটু বেঁকিয়ে স্টান্স নিতে। যার ফলে আমি সামনে এবং পিছনের পায়ে স্বচ্ছন্দে নড়াচড়া করতে পেরেছি। ব্যাট করতেও সুবিধা হয়ে যায়। আমার এই সাফল্যের কৃতিত্ব অনেকটাই রবি শাস্ত্রীর।’’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজে ২৮৯ রান এসেছে হনুমার ব্যাট থেকে। হনুমা বলছেন, ‘‘আমি সব সময় চাপের মুখে ব্যাট করতে ভালবাসি। ব্যাটসম্যান হিসেবে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তেই হবে। এই রকম পরিস্থিতিই আমার মধ্যে থেকে সেরা খেলাটাকে বার করে আনে।’’
হনুমার প্রশংসা শোনা গিয়েছে স্বয়ং বিরাট কোহালির মুখেও। অন্ধ্রপ্রদেশের এই ব্যাটসম্যান জানাচ্ছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ক্যারিবিয়ান সফরে রান পাবেন। কেন বলছেন এ কথা? হনুমার ব্যাখ্যা, ‘‘গত দু’মাস ধরে আমি ক্যারিবিয়ানে আছি। ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছি। প্র্যাক্টিস করেছি এই সব উইকেটে। যার ফলে মানিয়ে নিতে কোনও সমস্যা হয়নি। আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, এই সফরে রান পাব। টেস্ট সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে রান পাওয়াটাও আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy