কোহলী-ধোনি: কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে
সাফল্যের হারে কে এগিয়ে, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি না বিরাট কোহলী? বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন কোহলী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর এই ফরম্যাটে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে না তাঁকে। তবে পরিসংখ্যান বলছে, এই ফরম্যাটে ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্যের হার ধোনির থেকেও ভাল। তবে বিরাটের এই পরিসংখ্যানে চাঁদের কলঙ্কের মতো একটু কালো দাগও রয়েছে।
২০০৭-এ ভারত প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত একমাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ধোনির নেতৃত্বে। কোহলী এখনও তাঁর অধিনায়কত্বে দেশকে কোনও আইসিসি ট্রফি দিতে পারেননি। তবে ক্রিকেটবিশ্বে ‘সেনা’ দেশ যাদের বলা হয়, সেই দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টি-টোয়েন্টি জেতার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কাতেও ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে কোহলীর অধিনায়কত্বে।
২০১৮-য় প্রথম বার দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাঠে ২-১ হারায় ভারত। একই বছর শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে তাদের দেশে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল। ২০১৯-২০ মরসুমে নিউজিল্যান্ডকে তাদের দেশে ৫-০ উড়িয়ে দেয় কোহলীর ভারত। ২০২০-তে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে গিয়েও ২-১ সিরিজ জেতে।
সামগ্রিক ভাবেও টি-টোয়েন্টিতে কোহলীর রেকর্ড ধোনির চেয়ে ভাল। তাঁর অধিনায়কত্বে ৪৫টি ম্যাচের মধ্যে ২৭টি ম্যাচে জিতেছে ভারত। দু’টি ম্যাচ টাই হয়েছে এবং দু’টি পরিত্যক্ত। জয়ের শতাংশের হার ৬৫.১১। অন্যদিকে, ধোনি টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৭২টি ম্যাচে। জিতেছেন ৪১টি এবং হেরেছেন ২৮টি ম্যাচ। একটি ম্যাচ টাই এবং দুটি পরিত্যক্ত। জয়ের শতাংশের হার ৫৬.৯৪।
তবে কোহলীর জীবনে এখনও কাঁটা আইসিসি ট্রফির অভাব। সম্প্রতি টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও হেরে গিয়েছিল ভারত। তার আগে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে হারতে হয়। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভারতের পারফরম্যান্স আহামরি কিছু নয়। সেখানে ধোনির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাশাপাশি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপও রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy