সপরিবার: স্ত্রী অনুষ্কা ও শিশুকন্যাকে নিয়ে পুণেয় হাজির কোহালি। টুইটার
টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নেওয়ার পরে এ বার সামনে পঞ্চাশ ওভারের দ্বৈরথ। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অইন মর্গ্যানের দলের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ, পুণেতে। তার আগে বিরাট কোহালি জানিয়ে দিলেন, কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে তিনি ওপেন করার সিদ্ধান্ত নিলেও কোনও নিশ্চয়তা নেই যে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি এবং রোহিত শর্মাই শুরুতে নামবেন।
কোহালির কথায়, সূর্যকুমার যাদবের মতো তরুণদের বেশি সুযোগ করে দিতেই ওপেনার হিসেবে নিজেকে পরখ করে রাখলেন। ক্রিকেটবিশ্ব এবং ক্রিকেট সমর্থকেরা যতই ‘রো-বি’ জুটি নিয়ে উত্তাল হোক, ভারত অধিনায়ক বলে দিচ্ছেন, ‘‘অতীতে আমি তিনে ব্যাট করেছি। চারে ব্যাট করেছি। এখন শুরুতে গেলাম। পরিকল্পনাটা হচ্ছে, আরও একটি জায়গার দরজা খোলা। যাতে মাঝের দিকে সূর্যকুমারদের যথাযথ সুযোগ দেওয়া হয়।’’ যোগ করেন, ‘‘অতীতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমি ওপেন করেও সফল হয়েছি।’’ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে আইপিএলে ওপেন করে দুর্দান্ত মরসুম কাটিয়েছিলেন কোহালি। তবে বিশ্বকাপে তাঁকে এবং রোহিতকেই ওপেনে দেখা যাবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিশ্বকাপের কাছাকাছি গিয়ে আমরা এ নিয়ে আলোচনা করতে পারি। তবে সূর্যকুমার যদি ও রকম খেলে যায়, আমি অন্য যে কোনও ভূমিকা পালন করতে রাজি।’’
মঙ্গলবার থেকে শুরু ওয়ান ডে সিরিজে অবশ্য কোহালিকে ওপেনার হিসেবে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। রোহিত শর্মা এহং শিখর ধওয়ন শুরুতে নামবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন কোহালি। একই সঙ্গে তিনি চান, তরুণ ব্রিগেডকে সুযোগ দিয়ে দেখে নিতে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে দলে নেওয়া হয়েছে মহম্মদ সিরাজ, সূর্যকুমার যাদব, ক্রুণাল পাণ্ড্য, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণদের। প্রত্যেককেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন অধিনায়ক। সোমবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট বলেন, ‘‘ওয়ান ডে দলে বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছে। ওদের দেখে নিতে চাই। ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ওরা কী ভাবে মানিয়ে নেয়, তা দেখতেচাই আমরা।’’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডিআরএস যুগ শুরু হওয়ার পরে ‘আম্পায়ার্স কল’ নিয়ে বহু বার প্রশ্ন উঠেছে। বিরাটের কাছে জানতে চাওয়া হয় এই প্রথা তুলে দেওয়া হলে ক্রিকেটে কী রকম প্রভাব পড়তে পারে? অধিনায়কের জবাব, ‘‘ডিআরএস ছাড়াই আমরা বহু বছর ক্রিকেট খেলেছি। তখন এত জটিলতা ছিল না। আম্পায়ার্স কল অহেতুক জটিলতা তৈরি করছে। বোল্ড হওয়ার সময় তো দেখা হয় না যে, বল স্টাম্পের পঞ্চাশ শতাংশের মধ্যে লাগল কি না। অথবা বেলের উপরে লাগলে কি সে বোল্ড হবে না? এলবিডব্লিউয়ের ক্ষেত্রেও একই রকম নিয়ম থাকা উচিত। বল স্টাম্প ছোঁয়ার সম্ভাবনা থাকলেই আউট দেওয়া উচিত।’’
কে এল রাহুলের সাম্প্রতিক ছন্দ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয় প্রত্যেক ব্যাটসম্যানকেই। কোহালি মনে করেন, ব্যাটসম্যান সব চেয়ে বেশি চাপে পড়ে যায় সমালোচনায় কান দিলে। তাঁর কথায়, ‘‘ছন্দ ও ছন্দপতনের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে দেয় সমর্থকদের বিদ্রুপ।’’ এর পরেই বলে ওঠেন ‘‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় কহনা। অনেকেই ব্যর্থতা উপভোগ করে। কেউ খারাপ খেললে তারা মজা পায়। ক্রিকেটে বাইরের কথার কোনও গুরুত্ব নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy