আস্থা: আইপিএলে কোহালি ছন্দে ফিরবেন, ধারণা কপিেলর। ফাইল চিত্র
সিরিজ হারার পরে নিউজ়িল্যান্ডের সাংবাদিকের আগ্রাসন নিয়ে প্রশ্নে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বিরাট কোহালি। তার পরেও ভারত অধিনায়ক পাশে পেয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসনকে। এ বার নিউজ়িল্যান্ডেরই তারকা ক্রিকেটার টিম সাউদি পাশে দাঁড়ালেন কোহালির। বললেন, ‘‘বিরাট মাঠে খুব আবেগ নিয়ে খেলে। আবেগ প্রকাশ করতেও পিছিয়ে থাকে না। এ ভাবেই ও নিজের সেরাটা বার করে আনার চেষ্টা করে।’’ যোগ করেন, ‘‘মাঠে বিরাটের প্রাণশক্তি দেখার মতো।’’
দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে উইলিয়ামসন আউট হওয়ার পরে কোহালি গর্জন করে ওঠেন এবং অভিযোগ, তিনি নিউজ়িল্যান্ডের অধিনায়কের উদ্দেশে অতি আগ্রাসী ভঙ্গিতে চিৎকার করে ওঠেন। যা নিয়ে নিউজ়িল্যান্ডের এক সাংবাদিক প্রশ্ন করাতে উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন কোহালি। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এমনও বলেন যে, সত্যি কী ঘটেছিল পুরোপুরি না জেনে প্রশ্ন করা উচিত নয়। বলেন, ‘‘ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগলের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি তো খারাপ কিছু দেখেননি আমার আচরণে।’’
‘রেডিয়ো নিউজ়িল্যান্ড’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাউদি অবশ্য বলেছেন, কোহালির এমন আগ্রাসন নতুন কিছু নয়। এটাই তাঁর স্বাভাবিক ভঙ্গি এবং এর মধ্যে তিনি খারাপ কিছু দেখছেন না। আইপিএলে কোহালির সঙ্গে খেলেছেন সাউদি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই জানিয়েছেন, কোহালি স্বাভাবিক ভাবেই খুব আগ্রাসী এবং আবেগকে কখনও ধরে রাখেন না। বলেছেন, দু’দলই কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি কিন্তু সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ দু’দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে দেবে না। দু’দলই কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি।
এ দিকে, নিউজ়িল্যান্ডে কোহালির খারাপ ফর্ম বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কপিল দেবের মনে হচ্ছে, তিরিশ বছর হয়ে যাওয়ায় কোহালির আরও বেশি অনুশীলন করা দরকার। ‘‘তিরিশ হয়ে গেলে দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে। তখন প্র্যাক্টিসের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হয়,’’ বলে কপিলের ব্যাখ্যা, ‘‘সুইং বোলিংয়ে কোহালি অনায়াসে ফ্লিক করে চার মেরে দিত। এখন ওই বলেই আউট হয়ে যাচ্ছে। দু’বার একই রকম ডেলিভারিতে আউট হল। আমার মনে হয়, দৃষ্টিশক্তির ব্যাপারে ওর যত্নবান হওয়া উচিত।’’ নিউজ়িল্যান্ডে দু’টি টেস্ট ম্যাচে মাত্র ৩৮ রান করতে পেরেছেন কোহালি। গড় মাত্র ৯.৫০। সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে নিউজ়িল্যান্ডে এ বার ১১টি ইনিংস খেলে ২১৮ রান করেছেন তিনি। ২০১৪-তে ইংল্যান্ড সফরের পরে গত ছয় বছরে এত খারাপ সফর আর যায়নি তাঁর। শুরুতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিউজ়িল্যান্ডকে ৫-০ হোয়াইটওয়াশ করেছিল কোহালির দল। তার পর ৫-৫ করে ফেলেন কেন উইলিয়ামসনেরা। ওয়ান ডে সিরিজ জেতেন ৩-০, টেস্টে ২-০।
কপিল বলছেন, ‘‘বড় ক্রিকেটারেরা যখন ভিতরে আসা বলে বেশি এলবিডব্লিউ বা বোল্ড হওয়া শুরু করে, বুঝতে হবে ওদের দৃষ্টিশক্তি এবং রিফ্লেক্স সম্ভবত কমছে। তাই যেটা শক্তি ছিল, সেটাই দুর্বলতা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। তখন ওদের বেশি প্র্যাক্টিস করতে বলতে হয়।’’ কোহালি এখন ৩১ এবং বিশ্বের সব চেয়ে ফিট ক্রিকেটারদের এক জন। তিন ধরনের ক্রিকেটেই সেরা ফর্মে রয়েছেন পাঁচ বছরের উপর। ২০১৪-র শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে ধরলে (যেখানে মিচেল জনসনদের পিটিয়ে চার টেস্টে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন) ব্যাট হাতে এই প্রথম এতটা রান খরা গেল তাঁর। কখনও চোখের ব্যাপারে অস্বস্তির কথাও বলতে শোনা যায়নি তাঁকে। কপিল যদিও দাবি করছেন, ‘‘দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় পড়লে টেকনিক আরও উন্নত করতে হবে। না হলে শট খেলার জন্য দেরিতে বলের কাছে পৌঁছবে।’’ কিংবদন্তি অলরাউন্ডারের মতে, ‘‘আইপিএলেই নিজের ছন্দে ফেরার চেষ্টা করতে হবে ওকে। বিরাট অসাধারণ ক্রিকেটার, ও নিজেই বুঝতে পারবে কী করণীয়।’’ ১২ মার্চ ধর্মশালায় দ্বৈরথ দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হচ্ছে কোহালিদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy