আগুনে: শুক্রবার ম্যাচের সেরা জফ্রা আর্চার গতির তুফান তোলেন মন্থর পিচেও। ফাইল চিত্র
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে গতির আগুনের মুখে ভারতীয় ব্যাটিংকে ফেলার রণনীতিই নিয়েছিল ইংল্যান্ড। যে কৌশলে পুরোপুরি সফল অইন মর্গ্যানের দল। আমদাবাদে আজ, দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে হলে আর্চারদের গতির জবাব দিতে হবে বিরাট কোহালিদের।
শুক্রবার রাতে ভারতকে আট উইকেটে হারানোর পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে ইংল্যান্ড অধিনায়ক মর্গ্যান বলে যান, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম, ভারতকে শুরু থেকেই গতির মুখে ফেলে দিতে।’’ জফ্রা আর্চার এবং মার্ক উড— দুই পেসারের ভয়ঙ্কর গতির সামনে প্রথম ছয় ওভারেই ব্যাকফুটে চলে যায় ভারতীয় ব্যাটিং। প্রথম ছয় ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ২২-৩। ভারত শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে তোলে ১২৪।
মর্গ্যান বলে যান, ‘‘জফ্রার অনেক দক্ষতার মধ্যে একটা হল, এক্সপ্রেস গতিতে বল করতে পারা। মার্ক উডের শক্তিও গতি। মানছি, ও রকম জোরে বল করতে পারাটা সব সময় সম্ভব নয়। কিন্তু যে দিন পারে, সে দিন খেলা জমিয়ে দেয় উড।’’ জফ্রা (৩-২৩) এবং উড (১-২০) মিলে আট ওভারে মাত্র ৪৩ রান দেন। যোগ্য সঙ্গত করেন ক্রিস জর্ডান (১-২৭) এবং বেন স্টোকস (১-২৫)। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দ্রুততম বলটাও বেরিয়েছে উডের হাত থেকে। ঘন্টায় ১৫২ কিলোমিটার গতি ছিল সেই বলের। ১৫০ কিলোমিটার গতিতে হামেশাই বল করে থাকেন ইংল্যান্ডের ডান-হাতি ফাস্ট বোলার। গত কালও উডের গড় গতি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার ছুঁইছুঁই ছিল। জফ্রারও কয়েকটি ডেলিভারি ১৫০ কিলোমিটারের গণ্ডি ছুঁয়েছিল। এই গতির সঙ্গে যোগ হয়েছিল মোতেরার পিচের অসমান বাউন্সও। যা সমস্যায় ফেলে দেয় ব্যাটসম্যানদের। জফ্রার করা দিনের দ্বিতীয় ওভারেই প্রায় গুডলেংথ স্পট থেকে লাফিয়ে ওঠা বল বিরাট কোহালির গ্লাভসে আঘাত করে। ভারতের প্রাক্তন পেসার ইরফান পাঠানের ইঙ্গিত, ইংল্যান্ড ফাস্ট বোলারদের গতির সামনেই সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ইরফান টুইট করেন, ‘‘দু’দলের মধ্যে তফাতটা কোথায় হয়ে গেল? আমার মনে
হয়, গতিতে।’’
ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলাররা যখন প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করে গিয়েছেন, সেখানে ভারতীয় পেস আক্রমণ বলতে ছিল ভুবনেশ্বর কুমার এবং শার্দূল ঠাকুরের সুইং নির্ভর বোলিং। ভুবিদের ১৩৫-১৩৮ কিলোমিটার গতির বল ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের একেবারেই সমস্যায় ফেলতে পারেনি। তিন স্পিনারে দল সাজিয়েছিলেন কোহালিরা, যা অবিলম্বে পাল্টানোর দাবি উঠেছে।
ম্যাচের সেরা জফ্রা বলে যান, ‘‘উইকেট একটু মন্থর ছিল। এই উইকেটে প্রথমে বল করতে পেরে দারুণ লেগেছিল। পরিবেশ-পরিস্থিতি কাজে লাগাতে পেরেছিলাম।’’ তবে আজ, রবিবার, দ্বিতীয় ম্যাচের আগে জফ্রা বলেছেন, ‘‘আমার কনুইয়ের চোট নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আগে এই সিরিজটা শেষ হোক। তার পরে দেখা যাক, পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়।’’
মার্ক উডের বোলিং গ্রাফ দেখলেই বোঝা যায়, ইংল্যান্ড কী কৌশল নিয়েছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে। একটু শর্ট অব লেংথ থেকে বল শরীর তাক করে ভিতরে আনা। শট খেলার জন্য কোনও জায়গা না দেওয়া। উডের ৮০ শতাংশ বলই এ রকম ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy