জুটি: জীবনে চলার পথে যোগ্যতম সঙ্গী হিসেবে কোহালিকে পেয়ে অভিভূত, বলছেন স্ত্রী অনুষ্কা। ফাইল চিত্র
তাঁদের বিয়ের দেড় বছর হয়ে গেল। স্ত্রী বলেন, স্বামী তাঁর সেরা বন্ধু। স্বামীর জবাব, আগুনে রাগ সামলে দিয়েছেন স্ত্রী।
বিরুষ্কাকে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহ বাড়তেই থাকছে। দেশের সব চেয়ে শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় জুটিও বলা হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু বিরাট মাঠের মধ্যে এত রাগী, রাগী কেন? একটি ফিল্মি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনুষ্কা শর্মা ফাঁস করেছেন অন্য তথ্য। বলেছেন, ‘‘মাঠের বাইরে বিরাট খুবই শান্ত প্রকৃতির। আমার দেখা সব চেয়ে শান্ত মানুষদের এক জন। ব্যক্তিগত জীবনে খুবই ধীরস্থির ভঙ্গি রয়েছে ওর।’’ সত্যিই কি তাই? অনুষ্কা যোগ করছেন, ‘‘আপনারা যে কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করতে পারেন, আমার টিমের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন।’’ অনুষ্কা জোর দিয়েই বলে দিচ্ছেন, ‘‘মাঠের মধ্যে যে আক্রমণাত্মক বিরাটকে দেখা যায়, সেটা মাঠের বাইরে একদমই দেখা যায় না। ব্যক্তিগত জীবনে ও মোটেও আগ্রাসী নয়। আমার দেখা সব চেয়ে শান্ত মানুষদের এক জন। কখনসখনও আমি ওকে দেখে বলে ফেলি, বাহ রে, এতটা ধীরস্থির হলে কী করে তুমি!’’ তা হলে মাঠের মধ্যের আগ্রাসী বিরাট? সেটার কী ব্যাখ্যা? অনুষ্কার মতে, ‘‘বিরাট ওর ক্রিকেট নিয়ে খুবই আবেগপ্রবণ। সেটাই হয়তো মাঠের মধ্যে বেরিয়ে আসে। কিন্তু আমি বলে দিতে পারি, মাঠের বাইরে সে সবের কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না।’’
বিয়ের পরে এই প্রথম এতটা খোলাখুলি ভাবে বিবাহিত জীবন এবং বিরাটকে নিয়ে কথা বলছেন অনুষ্কা। ফাঁস করেছেন যে, বিরাট তাঁকে খুব ভাল বুঝতে পারেন। সেই কারণেই তাঁদের দাম্পত্য জীবন দারুণ ভাবে এগোচ্ছে। যে কোনও সম্পর্ক সফল হওয়ার ক্ষেত্রে পরস্পরকে বোঝার ব্যাপারটা সব চেয়ে বেশি করে দরকার বলে মনে করেন অনুষ্কা। তিনি বলছেন, ‘‘আমার বিয়ে হয়েছে সেরা বন্ধুর সঙ্গে। যাকে আমি সব চেয়ে বেশি বিশ্বাস করি। আমি এমন এক জনকে বিয়ে করেছি, যাকে আমি এতটা ভালবাসি তার ভিতরে থাকা দারুণ মানুষটার জন্য।’’ এখানেই না থেমে বলিউড অভিনেত্রী যোগ করছেন, ‘‘জীবনে চলার পথে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হওয়ার পরে এমন এক জনের সঙ্গে দেখা হল, যে সম্পূর্ণ ভাবে তোমাকে বুঝতে পারে। আমার ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই হয়েছে। সেই কারণে ওখানেই আমার পৃথিবীতে বাকি সব কিছু শেষ হয়ে যায়। আর কিছু পড়ে থাকে না।’’ দু’জনেই ব্যস্ততম তারকা। বিরাট ক্রিকেটার, তিনি বলিউড অভিনেত্রী। তবু যখনই দু’জনে সময় পান, একসঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করেন। তিনি এবং বিরাট একসঙ্গে থাকার সময় কী রকম অনুভূতি হয়? বিরাট-প্রেমে ডুবে গিয়ে অনুষ্কার জবাব, ‘‘আমাদের দু’জনেরই তখন মনে হয় যেন বাকি পৃথিবীর আর কোনও কিছুর অস্তিত্ব নেই। শুধু আমরা দু’জনেই আছি। আসলে আমরা দু’জনেই একে অন্যের মধ্যে নিজেদের পৃথিবী খুঁজে পাই কারণ আমাদের দু’জনের জীবনে খুব মিল আছে।’’
সম্ভবত দু’জনকেই যে বর্হিজগতে অনেকে ভুল বোঝেন, সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘ফার্স্ট লেডি’। আরও বলেছেন, ‘‘বিয়ের আগে আমরা যখন ডেট করছিলাম, তখনও একই রকম অনুভূতি ছিল। দু’জনে ডুবে থাকতাম দু’জনের মধ্যে। তার কারণ আমাদের দু’জনের জীবনের অনেক মিল। আজ আমি খুব খুশি কারণ এমন এক জনকে পেয়েছি, যাকে আমি মন থেকে এত চেয়েছি। সে-ই আমার সংসার।’’
নিজের কেরিয়ারে ব্যস্ততার মধ্যে বিয়ে করা নিয়েও এই সাক্ষাৎকারে খোলামেলা ভাবে কথা বলেছেন অনুষ্কা। তাঁর সাফ কথা, ‘‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রির চেয়ে আমাদের দর্শকেরা অনেক এগিয়ে গিয়েছেন। এখন আর কেউ ও ভাবে চিন্তা করে না যে, নায়িকা থাকতে থাকতে কী করে অল্প বয়সে কেউ বিয়ে করে ফেলল! দর্শকেরা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর ভাবিতই নন। স্ক্রিনে তোমার কী পারফরম্যান্স, সেটাই তারা দেখতে চান।’’ অনুষ্কার সোজাসাপ্টা বক্তব্য, ‘‘আমাদের এই অহেতুক মানসিক অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমি ২৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছি, যেটাকে অভিনেত্রী হিসেবে বেশ তরুণ বয়সই ধরা হয়। কিন্তু আমি বিয়ে করেছি কারণ আমি প্রেমে পড়েছিলাম। আমি এখনও প্রেমে পড়ে আছি। বিয়েটা সেই প্রেমের খুবই স্বাভাবিক পরিণতি।’’
তা হলে ফিল্ম? বিরাট-প্রেমের জয়গান গেয়ে অনুষ্কার জবাব, ‘‘এখন আর কেউ দেখতে চান না, আমি বিবাহিত নাকি সন্তানের মা। পর্দায় কী ঘটবে, সেটাই তাঁদের কাছে আসল।’’ তাঁর মুখে যেন সেই বিখ্যাত বাংলা গান, ‘‘বেশ করেছি, প্রেম করেছি, করবই তো!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy