Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Europa League

ম্যান ইউ ট্রফিহীনই, প্রথম ইউরোপায় সেরা ভিয়ারিয়াল

মারাত্মক হতাশ ম্যান ইউয়ের ফুটবলারেরাও। মার্কাস র‌্যাশফোর্ড তো বলেই দিলেন, ‘‘প্রিমিয়ার লিগে আমরা দ্বিতীয় হলাম।

চ্যাম্পিয়ন: ইউরোপা লিগের ফাইনালে জয়ের পরে ট্রফি নিয়ে উৎসব ভিয়ারিয়ালের ফুটবলারদের।

চ্যাম্পিয়ন: ইউরোপা লিগের ফাইনালে জয়ের পরে ট্রফি নিয়ে উৎসব ভিয়ারিয়ালের ফুটবলারদের। গেটি ইমেজেস

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২১ ০৫:২৮
Share: Save:

ইউরোপা লিগ

ভিয়ারিয়াল ১ ম্যান ইউ ১

টাইব্রেকারে ১১-১০ জয়ী ভিয়ারিয়াল

ওয়ে গুন্নার সোলসার বলেছিলেন, যে কোনও ভাবে ইউরোপা লিগ জয়ের ট্রফিটা তিনি চান! ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজারের বিশ্বাস ছিল, চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে তাঁর ক্লাবের মনোবল দারুণ জায়গায় পৌঁছে যাবে। এবং পরের বার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগও জিতে যেতে পারে রেড ডেভিলস।

বাস্তবে উল্টোটাই হল। পোলান্ডে ম্যান ইউ বনাম ভিয়ারিয়ালের মধ্যে ইউরোপা ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের পরে ফল ছিল ১-১। দু’দলই অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করল। এবং তার পরেই শুরু হল রুদ্ধশ্বাস ‘টাইব্রেকার-নাটক’। যেখানে ম্যাচের মীমাংসা হল ২১ তম পেনাল্টিতে। তার আগে দু’দলের কেউই গোল করতে ভুল করেননি। প্রথম ভুলটা করলেন রেড ডেভিলসের গোলরক্ষক দাভিদ দা হিয়া। সেই ২১ নম্বর শটটাই ঠিক করে দিল ম্যাচের ভাগ্য। হিয়ার দুবর্ল পেনাল্টি শট অনায়াসে আটকে দিলেন ভিয়াররিয়ালের গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। এবং উনাই এমরির কোচিংয়ে প্রথম বার ইউরোপা লিগ পনাল্টিতে ১১-১০ ব্যবধানে জিতে গেল স্পেনের ক্লাব। মজা করে ভিয়ারিয়াল ম্যানেজার বললেন, ‘‘আমরা কিন্তু এই ম্যাচের জন্য পেনাল্টির অনুশীলনই করিনি! তবু চ্যাম্পিয়ন হলাম ভাবতে পারছি না।’’

ফুটবল মহল বেশ অবাক, হিয়ার মতো নামী এবং পোড়খাওয়া গোলরক্ষক ১০টি পেনাল্টির একটিও আটকাতে না পারায়! উল্টে ম্যান ইউ বাধ্য হয়ে তাঁকে ২১তম শটটি মারাতে পাঠালে নিজের গোলটাও করতে পারলেন না। তাই খেলা শেষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ভক্তদের তোপের মুখে পড়লেন তিনি। এমনিতে মঙ্গলবার ২৯ মিনিটে জেরার্ড মোরেনোর গোলে ভিয়ারিয়াল ১-০ এগিয়ে যায়। ৫৫ মিনিটে গোল শোধ করেন ম্যান ইউয়ের এডিনসন কাভানি। কিন্তু আর গোলই হয়নি। দৃশ্যতই ম্যাচের পরে ভেঙে পড়লেন সোলসার। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘‘আমাদের জন্য মোটেই এটা সফল মরসুম নয়। কখনও কখনও একটা শট সব হিসাব উল্টোপাল্টা করে দেয়। হিয়া পেনাল্টি নষ্ট করায় ঠিক সেটাই হল।’’ যোগ করলেন, ‘‘অবশ্যই ট্রফি একটা বিরাট ব্যাপার। বিশেষ করে ম্যান ইউয়ের মতো ক্লাবের ক্ষেত্রে। কিন্তু এ বারও আমরা দৌড় শেষ করলাম খালি হাতে। সম্ভবত এই নিয়ে চার বছর। সত্যিই ভাবতে খুব খারাপ লাগছে।’’

মারাত্মক হতাশ ম্যান ইউয়ের ফুটবলারেরাও। মার্কাস র‌্যাশফোর্ড তো বলেই দিলেন, ‘‘প্রিমিয়ার লিগে আমরা দ্বিতীয় হলাম। ইউরোপাতেও রানার্স। ফুটবলে দ্বিতীয় হওয়ায় কোনও কৃতিত্ব নেই। এটা প্রায় কিছু করতে না পারার সমান।’’ আয়াখস আমস্টারডামকে হারিয়ে ২০১৭-তে ইউরোপা লিগ জিতেছিল ম্যান ইউ। সেই দলে ছিলেন র‌্যাশফোর্ডও। এ বার কিন্তু তিনিও বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করলেন। আর ম্যাচের পরে সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে অন্তত ৭০টি বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের সামনে পড়তে হল। ‘‘ওরা চায় আমার মানসিক অবস্থা সব চেয়ে খারাপ জায়গায় পৌঁছে যাক। ভিয়ারারিয়ালের কাছে হেরে এমনিতেই আমার মন ভাল নেই। তার পরেও ওরা যা ইচ্ছে বলে যেতেই পারে,’’ মন্তব্য ম্যান ইউ ফরোয়ার্ডের। সঙ্গে বিদ্রুপের সুরে র‌্যাশফোর্ড যোগ করেছেন, ‘‘বর্ণবিদ্বেষীদের সাফল্যই কামনা করছি!’’

অন্য বিষয়গুলি:

football Europa League Manchester United F.C.
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy