চর্চায়: কাভানির শাস্তিতে ক্ষুব্ধ উরুগুয়ে ফুটবল সংস্থা। ফাইল চিত্র
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত মন্তব্য করে শাস্তির মুখে পড়েছেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের তারকা এডিনসন কাভানি। তাঁর বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ পর্যন্ত এনেছে এফএ। আর সেই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে কাভানির দেশ উরুগুয়ে প্লেয়ার্স ইউনিয়ন।
গত বছরের নভেম্বরে ইপিএলে সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধে গোল করার পরে ইনস্টাগ্রাম পেজে উরুগুয়ে তারকা একটি মন্তব্য করেন, যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এফএ জানায়, তিনি বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন। সেই কারণে তাঁকে তিন ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করার সঙ্গে ৯৯ লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়। সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জাতীয় দলের সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়েছেন দুই তারকা লুইস সুয়ারেস এবং দিয়েগো গোদিন। দুজনেই জানিয়ে দেন, কাভানিকে যে ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিভাজনের নীতি। প্লেয়ার্স ইউনিয়ন বিবৃতিতে জানায়, উরুগুয়ের সংস্কৃতি মেনেই কাভানি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন। সেটারই ভুল ব্যাখ্যা করেছে এফএ। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “কাভানি যে নেগ্রিতো শব্দটি ব্যবহার করেছেন, তার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বর্ণবিদ্বেষের। উরুগুয়ের সংস্কৃতিতে প্রিয় বন্ধুকে এ ভাবেই সম্বোধন করা হয়ে থাকে। ফলে তাকে রাতারাতি বর্ণবিদ্বেষের তকমা দেওয়া আদৌ সমীচীন নয়।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “এফএ এ জাতীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে তার পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাবই স্পষ্ট করে ফেলেছে। আমরা এফএ-র কাছে অনুরোধ করছি, অবিলম্বে কাভানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হোক। ফুটবল বিশ্বে কাভানির যে সুনাম রয়েছে, তাকে কালিমালিপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করো হোক।”
উরুগুয়ে ফুটবল সংস্থাও আলাদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাভানি এমন প্রকৃতির ব্যক্তিত্বই নন, যিনি এ ভাবে সামাজিক এবং নৈতিক ভাবাদর্শে আঘাত করতে পারেন। তাই অবিলম্বে তাঁর উপর থেকে সরিয়ে নেওয়া হোক নিষেধাজ্ঞা। যদিও এফএ তাদের আগের অবস্থানেই অনড় রয়েছে এখনও পর্যন্ত। তাদের বক্তব্য, ভাষা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ম্যান ইউ তারকা বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যই করেছেন।
এ দিকে, রবিবার চেলসিকে ৩-১ গোলে হারানোর পরে বিতর্কে জড়ালেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওলা। করোনায় আক্রান্ত ম্যান সিটি শিবিরের ফুটবলার বেঞ্জামিন মেন্দি নববর্ষে বাড়িতে দুই বন্ধু এবং এক শেফকে ডেকে উৎসব পালন করেছেন। তা নিয়ে গুয়ার্দিওলা বলেন, “এই পরিস্থিতিতে মেন্দি যা করেছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। ও ক্ষমাও চেয়েছে। কিন্তু এটাও জানতে চাই, এ বারের নতুন বছরে কতজন মানুষ করোনা-বিধি ঠিক মতো পালন করেছেন?” তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তেরা তীব্র সমালোচনা করেছেন গুয়ার্দিওলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy