উয়েফার প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার সেফেরিন। ছবি রয়টার্স।
বিদ্রোহী লিগের পরিকল্পনা জন্মলগ্নেই পণ্ড। এ বার রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে নির্বাসনের পথে উয়েফা।
১২টির মধ্যে ন’টি ক্লাব ইতিমধ্যেই নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিদ্রোহী লিগ থেকে। এই তালিকায় ইংল্যান্ডের ছ’টি ক্লাব— ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, লিভারপুল, চেলসি, আর্সেনাল ও টটেনহ্যাম হটস্পার রয়েছে। ইটালির এসি মিলান ও ইন্টার মিলান বিদ্রোহী লিগ থেকে সরে এলেও জুভেন্টাস এখনও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনাও নাম প্রত্যাহার করেনি।
প্রস্তাবিত লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরেই উয়েফার প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার সেফেরিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ঘরোয়া লিগ থেকে বিদ্রোহী ক্লাবগুলিকে ছেঁটে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিলেন, চলতি মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠা রিয়াল, ম্যান সিটি ও চেলসি যাতে খেলতে না পারে, তার ব্যবস্থাও করবেন। ন’টি ক্লাব বিদ্রোহী লিগ থেকে নাম প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ায় অনেকটাই নরম উয়েফা। তবে রিয়াল ও জুভেন্টাসের ভূমিকায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ইউরোপের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার প্রধান কর্তা। এই দুই ক্লাবই বিদ্রোহী লিগের প্রধান উদ্যোক্তা ছিল। এই পরিস্থিতিতে জল্পনা শুরু হয়, এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কারণ ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করেছে জ়িনেদিন জ়িদানের দল। উয়েফা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “ইচ্ছে থাকলেও এ বার রিয়ালকে বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। আমরা যদি ওদের সেমিফাইনালে না খেলাই, তা হলে ম্যাচ সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলি ক্ষতিপূরণ দাবি করবে। এই পরিস্থিতিতে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম চেলসি ম্যাচ না হওয়ার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy