Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রহরীর সাহসে রক্ষা মেসিদের

নির্ভীক: মেসিকে আটকাতে শূন্যে বল দখলের মরিয়া চেষ্টা বরুসিয়া ডিফেন্ডার রাফায়েলের। মঙ্গলবার। —ছবি রয়টার্স।

নির্ভীক: মেসিকে আটকাতে শূন্যে বল দখলের মরিয়া চেষ্টা বরুসিয়া ডিফেন্ডার রাফায়েলের। মঙ্গলবার। —ছবি রয়টার্স।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:০৪
Share: Save:

ছ’সপ্তাহ পরে মাঠে ফিরলেন লিয়োনেল মেসি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইদুনা পার্কে মঙ্গলবার আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে নামানো হল বার্সার বিস্ময়-কিশোর ১৬ বছরের আনসু ফাতির পরিবর্তে দ্বিতীয়ার্ধে। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে বার্সেলোনা ইউরোপ-অভিযান শুরু করল ম্যাচে ৫৯ শতাংশ বল দখলে রেখে এবং নিজেদের মধ্যে ৬৬৪টি পাস খেলে। আশ্চর্যের ব্যাপার খেলার ফল তবু গোলশূন্য! কারণ একটাই। বিপক্ষ গোলে বার্সা ঠিকঠাক শট মারতে পেরেছে মাত্র একবার। আঁতোয়া গ্রিজ়ম্যান থেকে ফাতি— সবাই বিশ্রী রকম ব্যর্থ। এবং সব কিছু ছাপিয়ে বার্সাকে খেসারত দিতে হল মেসির নির্বিষ উপস্থিতির।

বিস্ময় এখানেই শেষ হচ্ছে না।

আসলে ম্যাচটা হারার কথা বার্সেলোনার। সেটা জার্মানির ক্লাব বিপক্ষ গোলে ১৩টি শট মারার জন্য নয়। তাদের চারটি শট লক্ষ্যে থাকাও বিষয় নয়। বরুসিয়া আটকে গেল এক জার্মানের জন্য। তিনি মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান। বার্সার গোলরক্ষক। জাতীয় দলে সতীর্থ মার্কো রয়েসের বাঁ-দিকে মারা পেনাল্টি বাঁচালেন অসাধারণ দক্ষতায়। সঙ্গে অন্তত দু’টি ক্ষেত্রে সেই রয়েসের মারা শট থেকেই আর একটু হলে গোল হচ্ছিল। দু’বারই শেষরক্ষা করলেন স্টেগান। তিনিই ম্যাচের সেরা। বলা যায়, জার্মান জাতীয় দলে নিয়মিত সুযোগ না পাওয়ার জবাব ওয়াকিম লো-কে দিলেন আর্নেস্তো ভালভার্দের বিশ্বস্ত গোল-প্রহরী। যিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোট ছ’টি পেনাল্টির চারটিই বাঁচিয়ে নজির গড়লেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও বার্সা ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে ক্যাম্প ন্যু-তে ফিরল জুলিয়ান ব্র্যান্ডটসের একটা শট স্টেগানকে পরাজিত করে পোস্টে প্রতিহত হওয়ায়।

স্বভাবতই এ ভাবে খালি হাতে ফিরতে হওয়ায় মারাত্মক হতাশ বরুসিয়া। সেটা স্পষ্ট ফুটবলারদের প্রতিক্রিয়ায়। ডর্টমুন্ড ডিফেন্ডার মাটস হুমেলস বললেন, ‘‘দ্বিতীয়ার্ধে অসাধারণ খেলেছি। তার পরেও দু’পয়েন্ট খুইয়ে মাঠ ছাড়তে হল ভেবে খুব খারাপ লেগেছে।’’ ডর্টমুন্ড অধিনায়ক রয়েসের কথায়, ‘‘চার থেকে পাঁচটা নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েছি। ভাবতেই পারছি না, একটি থেকেও গোল হয়নি। দায়ী আমিও। একটা গোল তো আমার জন্য হল না। না হলে না জেতার কারণই ছিল না।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘আসল লক্ষ্য নক-আউট। এ ভাবে খেললে মনে হয় না সমস্যা হবে।’’

আর ম্যাচের নায়ক নিজে কী বলছেন? ‘‘মার্কো অসাধারণ খেলেছে। সত্যিই ওর জন্য আর একটু হলে হেরে যাচ্ছিলাম,’’ স্বীকারোক্তি স্টেগানের। এ দিকে, স্পেনের প্রচারমাধ্যমে তোপের মুখে বার্সা ম্যানেজার ভালভার্দে। কেন ১৬ বছর ৩২১ দিন বয়সে ‘শুধুই নজির তৈরির জন্য’ নামানো হল ফাতিকে— এমন প্রশ্ন উঠেছে। ভালভার্দে অবশ্য অবিচল। তাঁর সাফ কথা, ‘‘ফাতি পারেনি। আমরা খারাপ খেলেছি। সব ঠিক আছে। কিন্তু ফুটবলে সুযোগ আসে। এটাই খেলাটার মজা। এখনই হতাশ হওয়ার দরকার নেই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Football UCL 2019-20 Barcelona Borussia Dortmund
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy