প্রতীকী চিত্র।
এক বছর পরেই টোকিয়ো অলিম্পিক্স। অথচ ভারতীয় টেবল টেনিস দলের জন্য নিযুক্ত বিদেশি কোচ দেজান পাপিচ এখনও যোগ দেননি দলের সঙ্গে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
গত বছর ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে জাতীয় দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকা বিদেশি কোচ মাসিমো কনস্ট্যানটিনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। যাঁর তত্ত্বাবধানে গোল্ট কোস্ট কমনওয়েলথ গেমস এবং পরে জাকার্তা এশিয়ান গেমস থেকে টেবল টেনিসে পদক এসেছিল। কেটেছিল এই ইভেন্টে দীর্ঘ ৬০ বছরের পদক-খরা কনস্ট্যানটিনি সরে যাওয়ার পরে সেই জায়গা অনেকটা সময় ছিল শূন্য। চলতি বছরের মার্চে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে সর্বভারতীয় টেবল টেনিস সংস্থা নিয়োগ করেন পাপিচকে। কিন্তু জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাঁর দেখা নেই।
আর নতুন কোচের অনুপস্থিতি অস্বস্তি তৈরি করেছে খেলোয়াড়দের মধ্যে। সোমবার সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে ভারতীয় টেবল টেনিসের এক নম্বর তারকা শরৎ কমল যেমন বলেছেন, ‘‘মাসিমো চলে যাওয়ার পরে নতুন কোচ নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কবে আসবেন, তা আমরা জানি না। কোচ ছাড়া অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন।’’ শোনা গিয়েছিল, চলতি কমনওয়েলথ টেবল টেনিসের সময় তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। কিন্তু সেই সম্ভাবনা বাস্তবে পরিণত হয়নি। শরতের কথায়, ‘‘এখানে আমাদের ফল কিন্তু আশাব্যঞ্জক। আমি ছাড়াও খুব ভাল খেলছে সাথিয়ান এবং মনিকা বাত্রা। কিন্তু আমরা নিজেদের মতো প্রস্তুতি নিয়েই এগোচ্ছি। কিন্তু ডাবলস ইভেন্টে ভাল ফলের জন্য বিশেষজ্ঞ কোচ থাকা একান্তই প্রয়োজনীয়।’’ সেখানেই না থেমে শরৎ আরও যোগ করেছেন, ‘‘আগামী ১১ মাসের মধ্যে তিনি কী ভাবে সমস্ত কিছু গুছিয়ে নিতে পারবেন, সেটা আমাদের কাছে অজানা। সিঙ্গলস ইভেন্ট নিয়ে খুব বেশি সমস্যা নেই, কিন্তু ডাবলস এবং মিক্সড ডাবলসে নিজেদের মতো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়।’’
সর্বভারতীয় টেবল টেনিস সংস্থাও পাপিচের থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। সংস্থার জনৈক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সাই) তাঁকে নিয়োগ করেছে। আমরা গত সপ্তাহে তাঁর কাছে সেই নিয়োগের চিঠিও পাঠিয়েছি। এ বার তিনি কবে সেই চিঠিতে সই করে ফেরত পাঠাবেন, তার অপেক্ষাতেই আছি আমরা।’’
তিন বছর আগে রিয়ো অলিম্পিক্সে ভারতের চার প্রতিনিধি খেলতে গিয়েছিলেন। শরৎ কমল মনে করেন, এ বার সেই সংখ্যা বাড়তেও পারে। তিনি বলেছেন, ‘‘অলিম্পিক্সে দলগত ইভেন্টের মূলপর্বে যাওয়ার ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। মোট ১৬টি দল সেই ইভেন্টে অংশ নেয়। আমরা ৯ থেকে ১১-এর মধ্যে রয়েছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আগামী বছর জানুয়ারিতে পর্তুগালে একটি প্রতিযোগিতা রয়েছে। যেখানে ভাল খেলতে পারলে আগামী এপ্রিল মাসে এশীয় স্তরের যোগ্যতা অর্জন স্তরে পৌছতে পারি। তা সম্ভব না হলে বিশ্ব র্যাঙ্কিং দেখা হবে। যদিও আমার বিশ্বাস, এশীয় স্তরে যোগ্যতা অর্জন করতে পারব।’’
ব্যক্তিগত স্তরে নিজেকে সেরা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার নকশা ইতিমধ্যে তৈরি করে ফেলেছেন শরৎ। তিনি বলেছেন, ‘‘২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে ১০টি প্রো টুর রয়েছে। এ ছাড়া এশিয়া কাপ, এশীয় যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে। আমি সমস্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজেকে তৈরি রাখতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy