উচ্ছ্বাস: টটেনহ্যাম এগিয়ে যেতেই সহকারীর কোলে জোসে। এএফপি
১৯ মিনিটের মধ্যে ০-২ পিছিয়ে পড়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টটেনহ্যাম হটস্পার ৪-২ হারাল গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকসকে। এবং জোসে মোরিনহোর সেই রেকর্ড অক্ষুণ্ণ থাকল। ইউরোপের সেরা টুর্নামেন্টে আজ পর্যন্ত তাঁর কোচিংয়ে থাকা কোনও ক্লাব গ্রুপ পর্যায় থেকে বিদায় নেয়নি। গতবারের রানার্স স্পার্স এ বারও খেলবে নক আউটে।
দায়িত্ব নেওয়ার পরে ঘরের মাঠে মঙ্গলবারই ছিল জোসের প্রথম ম্যাচ। টটেনহ্যামের ঘুরে দাঁড়ানো শুরু ডেলে আলির প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে ১-২ করা গোল দিয়ে। এই গোল কার্যত উপহার পাওয়া। গ্রিসের ক্লাবের ডিফেন্ডার ইয়াসিন মেরিয়ার অবিশ্বাস্য ভুলের সুযোগে খুব কাছ থেকে শট নিয়ে গোল করে যান আলি।
টটেনহ্যাম সেরা খেলা শুরু করে হ্যারি কেনের গোলের সৌজন্যে। এবং এই গোলের জন্য অনেকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন এক বলবয়কে। ডাগ আউটে মোরিনহোর ঠিক পাশে বসে ছিল সে। একটা বল থ্রো হয়। সেই ছেলে বিদ্যুতের গতিতে বল দিয়ে আসে সেস অরিরেকে। অপ্রস্তুত অলিম্পিয়াকস দেখে, সেকেন্ডের মধ্যে থ্রো করলেন সেস। এবং সেই বল ধরে ডানদিক দিয়ে রকেটের গতিতে ছুটে সেন্টার লুকাস মাউরার। যা ধরে হ্যারি কেন হাসতে হাসতে গোল করে গেলেন। এবং এই একটা গোলেই ভেঙেচুরে গেল গ্রিসের ক্লাবের মনোবল।
গোল হতেই জোসে ছুটলেন সেই বলবয়ের কাছে। তাকে জড়িয়ে ধরে আদর করে এলেন। এবং ম্যাচের পরে মজা করে বললেন, ‘‘আমি নিজেও বলবয় ছিলাম ছোটবেলায়। এই ছেলেটা নিজের কাজটা অসাধারণ দক্ষতায় করে। ওকে বলেছিলাম, আমরা জিতেছি। তুমি আমাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে এসো। কিন্তু হঠাৎ দেখি ছেলেটা কোথায় উধাও হয়ে গেল।’’
ম্যাচের পরে ফুটবল বিশ্লেষকেরা বলে গেলন, মোরিনহো কেন বড় কোচ সেটা বোঝা গেল তাঁর একটা সিদ্ধান্তেই। লুকাস মাউরাকে প্রিয় জায়গা ডান দিকে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। নতুন ম্যানেজারের জমানায় প্রথম দু’টি ম্যাচেই টটেনহ্যাম ডান দিকেই আক্রমণের ঝড় তুলছে। ডান দিকে হ্যারি উইঙ্কসের সঙ্গে মাউরার অসম্ভব ভাল বোঝাপড়ার ফসল তুলছেন হ্যারি কেন, সন হিউন মিনরা। মঙ্গলবারের ম্যাচে কেন জোড়া গোল করলেন। চতুর্থ গোলটি অবশ্য ফরাসি তারকা অরিরের।
মঙ্গলবার খেলার ২৯ মিনিটে মোরিনহো তাঁর মিডফিল্ডার এরিক ডায়ারকে তুলে নিলে চমকে যান অনেকে। কেন এমন সিদ্ধান্ত? জোসের কথা, ‘‘বিশ্বাস করুন ০-২ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় আমার মধ্যে বিশেষ খারাপ-লাগা অনুভূতি ছিল না। জানতাম গোল হবেই। আমার খারাপ লেগেছে ডায়ারকে তুলে নিতে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ও ভীষণ বুদ্ধিমান ফুটবলার। দলের সঙ্গে বোঝাপড়াও খুব ভাল। আমি কিন্তু খারাপ খেলছিল বলে ওকে তুলে নিইনি। তুলেছি দলের স্বার্থে। আসলে সেই সময় আমাদের বেশি দরকার ছিল একজন সৃষ্টিশীল ফরোয়ার্ডের। একজন মিডফিল্ডার দিয়েও তখন কাজ চলে যাচ্ছিল। যে কারণে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে নামাই। লাভও হয়। তবে ডায়ারের জন্য খারাপ লেগেছে। আমি ওর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’’
টটেনহ্যাম খেলছে বি-গ্রুপে। এই গ্রুপে পাঁচ ম্যাচ খেলে সব ক’টি জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ। অবিশ্বাস্য ভাবে গোল করেছে ২১টি। সেখানে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করা টটেনহ্যামের পয়েন্ট পাঁচ ম্যাচে ১০। গোল করেছে ১৭টি। এত গোলের কৃতিত্ব অবশ্যই প্রাপ্য ইংল্যান্ডের অধিনায়ক কেনের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে তিনিই এখন দ্রুততম কুড়ির বেশি গোল করা ফুটবলার। মাত্র ২৪ ম্যাচে কেন এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন।
নক-আউটে ম্যান সিটি: নিজেদের সেরা খেলা না খেলেও ম্যাঞ্চেস্টার সিটি মঙ্গলবার শাখতার দনেস্কের সঙ্গে ১-১ ড্র করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল। নিজেদের মাঠে ৫৬ মিনিটে ইলখাই গুন্দোয়ানের গোলে ম্যান সিটি ১-০ এগিয়ে যায়। শাখতার গোল শোধ করে ৬৯ মিনিটে। সি-গ্রুপের শীর্ষে এখন পেপ গুয়ার্দিওলার দল। তাদের পয়েন্ট ৫ ম্যাচে ১১। দ্বিতীয় শাখতারের পয়েন্ট সেখানে পাঁচ ম্যাচে ছয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy